রোজিনা ইসলামের মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তি চাইলেন মির্জা ফখরুল

নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়িতে
ছবি: প্রথম আলো

প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও তাঁর মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ইতিমধ্যে দেশে-বিদেশে যথেষ্ট খ্যাতি লাভ করেছেন তাঁর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য। তিনি সত্যটাকে বের করে নিয়ে এসে যেটা তাঁর দায়িত্ব সেটা তিনি পালন করেছেন। জনগণের সামনে সত্যকে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে এই করোনার সময় করোনাসংক্রান্ত সরকারের যে দুর্নীতি মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তরে, এগুলোকে তিনি জনসমক্ষে নিয়ে এসেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কার্যালয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে।

মির্জা ফখরুল আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা অনেক আগে থেকে বলে আসছি দেশে মানুষের কোনো অধিকার নেই। না আছে সাধারণ নাগরিকদের অধিকার, না রাজনীতিবিদদের অধিকার, না আছে সাংবাদিকদের অধিকার—এটাকে তারা গণতন্ত্র বলে। তাঁর প্রশ্ন, গণতন্ত্র কাকে বলে? গণতন্ত্রের মূল কথাই হচ্ছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। ভিন্নমত পোষণ করার স্বাধীনতা—এটাই গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্রের পঞ্চ কলাম হচ্ছে সংবাদমাধ্যম। সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের এভাবে হেনস্তা করা দুঃখজনক। এটা কিন্তু নতুন না। আজ রোজিনা ইসলাম ভিকটিম। কিন্তু এর আগে বহুজনকে হেনস্তা করা হয়েছে। কমপক্ষে ৫০ জন সাংবাদিককে দেশ ছেড়ে যেতে হয়েছে।’

বিএনপি সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলন সফল করতে পারছে না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদে একটা আন্দোলন সফল করা সবচেয়ে কঠিন কাজ। সামরিক একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করা এত কঠিন না। ফ্যাসিবাদের পতন অনিবার্য। আজ পর্যন্ত কোনো ফ্যাসিবাদ-একনায়কতন্ত্র টিকে থাকতে পারেনি। এর পরিণাম ও পরিণতি শুভ হয় না।

এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহসভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।