লকডাউনের চতুর্থ দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফাঁকা

লকডাউনের চতুর্থ দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা ফাঁকা ছিল। শনিবার সকাল নয়টায় তোলা ছবি
প্রথম আলো

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের চতুর্থ দিন আজ শনিবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা। সবজি, মাছ, ফল ও মাংসের বাজারগুলোয় ক্রেতা কমে গেছে। তবে বাইরে যাঁরা আছেন, তাঁদের বেশির ভাগই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করছেন না।

জরুরি কাজে বের হওয়া ঢাকা ও কুমিল্লাগামী যাত্রীরা সরাসরি মোটরসাইকেলে করে অথবা ভেঙে ভেঙে স্থানীয় যানবাহনে গন্তব্যে যাচ্ছেন। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পেন্নাই বাজারের মাংস বিক্রেতা শাহজালাল বলেন, লকডাউনের প্রথম তিন দিনের তুলনায় চতুর্থ দিনে ক্রেতা অনেকটাই কমে গেছে।

মাছ বিক্রেতা উপজেলার দৈয়াপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম খলিল, সবজি বিক্রেতা ইছাপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, খেজুর বিক্রেতা স্বল্পপেন্নাই গ্রামের সাদেক মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত তিন দিন বিক্রি ভালো ছিল। আজ সকাল থেকে মনে হচ্ছে বাজার ক্রেতাশূন্য। তাই বিক্রিও কমে গেছে। এখন লাভের বিপরীতে লোকসান গুনতে হবে।

উপজেলার সরকাপুর গ্রামের রিকশাচালক রোশন মিয়া ও সোলায়মান মিয়া বলেন, লকডাউনের প্রথম দিকে সড়কে বের হয়ে অনেক যাত্রী পাওয়া যেত। আয় ভালো ছিল। আজ সকাল থেকে সড়কে যাত্রী অনেক কম। তাই আয়ও কমেছে।

সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে কথা হয় ঢাকাগামী ট্রাকচালক আবিদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, লকডাউনের প্রথম তিন দিনের চেয়ে চতুর্থ দিনে পণ্যবাহী যানবাহন অনেকটাই কমে গেছে।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, লকডাউনে পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।