লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় কড়া নজরদারি

পারের অপেক্ষায় অ্যাম্বুলেন্স। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট টিকিট কাউন্টারের সামনে
ছবি: এম রাশেদুল হক

সরকারঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে আজ বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে কড়া নজরদারি চলছে। জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ গাড়ি ছাড়া এই নৌপথে ফেরি চলাচল করছে না।

আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফেরিগুলো নোঙর করা। অধিকাংশ ফেরি র‌্যাম তুলে বসে আছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে রজনীগন্ধা নামের একটি ইউটিলিটি ফেরিতে করে সরকারের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তার গাড়ি দৌলতদিয়ায় ভেড়ে। আর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স দৌলতদিয়া ঘাটে এসে অপেক্ষা করে। কিছুক্ষণ পর অ্যাম্বুলেন্সগুলো নিয়ে ছোট একটি ফেরি পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

৫ নম্বর ঘাটে অপেক্ষমাণ ফেরি কেরামত আলীর কর্মচারীরা বলেন, গতকাল বুধবার সারা দিন ঘাটেই নোঙর করেছিল। সন্ধ্যার পর ঘাটে আটকে থাকা পণ্যবাহী গাড়িগুলো নিয়ে ফেরি ছাড়তে শুরু করে। রাতভর এভাবে সব পণ্যবাহী গাড়ি পার করার পর ভোর থেকে আবার ঘাটে নোঙর করে থাকে ফেরিগুলো।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) ফিরোজ শেখ বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, রাতে পচনশীল পণ্যবাহী গাড়ি এবং দিনের বেলায় জরুরি রোগী, লাশবাহী ও রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ছাড়া কোনো গাড়ি পার হতে পারবে না। তাও এসব গাড়ি পারাপারের ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে ফেরি ছাড়তে হচ্ছে।

এদিকে গোয়ালন্দ বাজারের বিভিন্ন দোকানের কিছু অংশ খুলে বিক্রি চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম অভিযানে গিয়ে সবাইকে লকডাউন মেনে চলার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনা সবাইকে মেনে চলতে হবে। না হলে আরও কঠোর হয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।