লকডাউনের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে যুবলীগের মানববন্ধন

শরীয়তপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আজ বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করেছে সদর উপজেলা যুবলীগ
ছবি: প্রথম আলো

লকডাউন উপেক্ষা করে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রায় তিন শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এক নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচির আয়োজন করে সদর উপজেলা যুবলীগ। এ সময় পুলিশ দায়িত্ব পালন করলেও কর্মসূচিতে বাধা দেয়নি।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল হেসেন, দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত যুবলীগ নেতা দাদন খলিফার বাবা সেকান্দার খলিফা, স্ত্রী নিশি আক্তার প্রমুখ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গত শুক্রবার শরীয়তপুর সদর উপজেলার গয়ঘর গ্রামের বাসিন্দা দাদন খলিফাকে (২৮) দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে। দাদন খলিফা স্থানীয় শৌলপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও মালয়েশিয়াপ্রবাসী ছিলেন। গত জানুয়ারি মাসে তিনি দেশে ফিরে আসেন। পূর্বশত্রুতার জের ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয় বলে জানায় পুলিশ। ওই ঘটনায় দাদন খলিফার বাবা সেকান্দার খলিফা বাদী হয়ে সদরের পালং মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ১০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। বাকিরা এখনো পলাতক।

দাদনের বাবা সেকান্দার খলিফা বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। এস্কান্দার সরদার এ হত্যায় মদদ দিয়েছেন, তিনি জড়িত। আমরা বিষয়টি বলার পরও পুলিশ তাঁকে আসামি করেনি, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করছে না।’

জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে প্রথম আলোকে বলেন, যুবলীগের এক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্ত পুলিশ এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ হত্যার নেপথ্যের নায়কদের আটক করা হচ্ছে না। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে লকডাউন উপেক্ষা করেই মানববন্ধন কর্মসূচি করতে হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যাঁরা পলাতক, তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা আছেন, তা জানার জন্য তদন্ত করা হচ্ছে। নেতাদের অনুরোধ করেছিলেন লকডাউন উপেক্ষা করে মানববন্ধন না করার জন্য। কিন্তু তাঁরা অনুরোধ রাখেননি।