লক্ষ্মীপুরে মা-বাবার হাত-পা বেঁধে মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে মা-বাবার হাত-পা বেঁধে মেয়েকে (২০) দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পর ওই তরুণীকে ধর্ষকেরা পিটিয়ে আহত করেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর নেয়ামত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পরে পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে স্থানীয় ব্যক্তিরা এগিয়ে এসে রাতেই মুমূর্ষু অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করে রামগতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আজ সোমবার দুপুরে মিরাজ হোসেন (২৬) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার শেষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে ওই তরুণী। গভীর রাতে একদল অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত হঠাৎ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেই মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে ওই তরুণীকে একটি কক্ষে আটকে ধর্ষণ করে তারা।

পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার শেষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে ওই তরুণী। গভীর রাতে একদল অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত হঠাৎ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেই মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে ওই তরুণীকে একটি কক্ষে আটকে ধর্ষণ করে তারা। ধর্ষণ শেষে তরুণীকে পিটিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে থেঁতলে ক্ষতবিক্ষত করে পালিয়ে যায় দুর্বত্তরা। পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্রও নিয়ে যায় তারা। পরে পরিবারটির চিৎকার শুনে স্থানীয় ব্যক্তিরা মুমূর্ষু অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের বিষয়টির প্রমাণ মিলেছে। ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মিরাজ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বিকেলে তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে। এ ঘটনায় পরিবারটির পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।