লক্ষ্মীপুরে মাকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর অভিযোগ

কুপিয়ে জখম
প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় মাকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছেলের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারীর নাম আমেনা বেগম (৬০)। পুলিশ বলছে, ওই নারীর ছোট ছেলে মিলন হোসেনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিলন হোসেন দুই বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। সম্প্রতি তাঁকে ঢাকা থেকে চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে আনা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় মা আমেনার সঙ্গে মিলন নানাবাড়ি থেকে বাড়িতে আসেন। ঘরে তাঁরা দুজনই থাকেন। ফজরের আজানের সময় ওই ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে স্থানীয় লোকজন ঘরে ঢুকে দেখতে পান আমেনার দেহ আগুনে পুড়ছে। পা ও শরীরের কিছু হাড় ছাড়া বাকি অংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করে। হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা দা উদ্ধার করা হয়। এরপর মিলনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল আমিন বলেন, মিলন আগে সুস্থ ছিলেন। দুই বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। অসুস্থতার কারণেই হয়তো মাকে হত্যার পর পুড়িয়ে ফেলেছেন। তিনি আরও বলেন, মিলনের বাবা প্রবাসী ছিলেন। তিনি কয়েক বছর আগে বিদেশেই মারা যান। আমেনা বেগমের আরও দুই ছেলের মধ্যে একজন প্রবাসী, আরেকজন ঢাকায় চাকরি করেন। মিলন তাঁর ছোট ছেলে।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিলন তাঁর মাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বসহ তদন্ত করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।