লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে চাষ, দামে খুশি কৃষক

প্রতি মণ ব্রি ২৮ জাতের চিকন ধান ৭৮০ থেকে ৮০০ আর উচ্চফলনশীল জাতের মোটা ধান ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে

কয়েক দিন ধরেই বৃষ্টি নামছে হঠাৎ করে। তাই খেতে বোরো ধান কাটতে গিয়ে কৃষক আবদুর রহিম (৫৬) শ্রমিকদের তাড়া দেন দ্রুত কাটা শেষ করে বাড়ি নিতে। রহিমের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদরের পূর্ব বেগুনবাড়িতে। তাঁর মতো এই গ্রামের আরও কয়েকজন কৃষক জানিয়েছেন মাড়াইয়ের পর এই ধান বাজারে নিয়েও ভালো দাম পাচ্ছেন।

বেগুনবাড়ি গ্রাম থেকে কৃষকেরা ধান নিয়ে বিক্রি করেন উপজেলার খোঁচাবাড়ি হাট, নেকমরদহ হাট ও লাহিড়ী হাটে। এর মধ্যে লাহিড়ী হাট বসে সপ্তাহের প্রতি সোমবার। গত সোমবার এ হাটে প্রতি মণ ব্রি ২৮ জাতের চিকন ধান ৭৮০ থেকে ৮০০ আর উচ্চফলনশীল জাতের মোটা ধান ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ৫৮ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। চাষ হয়েছে ৫৮ হাজার ৯৯০ হেক্টরে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬০ মেট্রিক টন। কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ ভাগ ধান খেত থেকে কাটা হয়েছে।

গতকাল সোমবার বেগুনবাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মাঠে গিয়েও ধান কাটার ব্যস্ততা দেখা যায়। কৃষকেরা বলেন, এবার রোগবালাইয়ের প্রকোপ কম ছিল। তেমন দুর্যোগও হয়নি। তাই প্রতি বিঘায় ৪৫ থেকে ৫০ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বাজারের বর্তমান দাম নিয়েও সন্তুষ্ট তাঁরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরোর চাষ হয়েছে। ন্যায্য মূল্য পেলে কৃষকেরা ধান চাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবেন।