লবণ আমদানি হলে কক্সবাজারে উৎপাদনে নামবেন না চাষিরা

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন সন্মেলনকক্ষে শিল্প সচিবের সঙ্গে স্থানীয় চাষি ও লবণ মিল মালিকদের মতবিনিময় সভা। সোমবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

দেশের লবণশিল্পকে ধ্বংস করার জন্য লবণ আমদানির পাঁয়তারা চলছে। আমদানি হলে কক্সবাজারের ৫০ হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদনে নামবেন না প্রান্তিক চাষিরা।

সোমবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানার সঙ্গে কক্সবাজারের চাষি ও লবণ মিলমালিকদের মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। সভায় কক্সবাজার-২ আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ, লবণ চাষি কল্যাণ পরিষদ, লবণ মিলমালিক অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বার অব কমার্সের নেতা, বিসিকের কর্মকর্তা এবং লবণচাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

লবণ চাষি কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোস্তফা কামাল চৌধুরী বলেন, দিন দিন চাষের জমি কমে যাচ্ছে। জমি অধিগ্রহণের কারণে মহেশখালীতে সাত হাজার ও মাতারবাড়ীতে তিন হাজার একর জমিতে লবণ চাষ কমে গেছে। এই মুহূর্তে লবণ আমদানির সিদ্ধান্ত নিলে চাষিরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। স্থানীয়ভাবে লবণ উৎপাদন না হলে চাহিদার সবটুকু লবণ বিদেশ থেকে আনতে হবে। তখন উভয় দিকেই সংকট দেখা দেবে।

বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল কবির বলেন, লবণ নিয়ে যে আইন করা হয়েছে, তাতে অনেক জটিলতা আছে। আইন মানতে গিয়ে ছোট মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই আইনের বিধিবিধান বাস্তবায়নে শিথিল করা প্রয়োজন।
সাংসদ আশেক উল্লাহ বলেন, লবণ আমদানি করা হলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত লবণ বিক্রি হবে না। মাঠেই পড়ে থাকবে। সরকারের চাহিদা অনুযায়ী কক্সবাজার থেকে লবণ জোগান দিতে পারলে আর আমদানির প্রয়োজন নেই।

শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, একটি চক্র সিন্ডিকেট করে লবণের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। হুট করে বাড়িয়ে দেয় দাম। তাই লবণের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। মাঠপর্যায়ে গিয়ে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সবার মতামত নিয়ে জাতীয় লবণ নীতিমালা করা হবে।

সমাপনী বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবাল। লবণশিল্পের সার্বিক অবস্থা নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিসিকের (উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ) উপমহাব্যবস্থাপক সরওয়ার হাসান। স্বাগত বক্তব্য দেন কক্সবাজার বিসিকের উপমহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল ভূঁইয়া।