লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া চালু থাকা ফার্মেসি বন্ধ করে দেওয়া হবে

নীলফামারীতে মডেল ফার্মেসির উদ্বোধন করছেন বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের বাটা মোড়ে
প্রথম আলো

বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ওষুধ ফার্মেসি স্থাপন করতে হলে ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট থাকতে হবে। ড্রাগ লাইসেন্স এবং ফার্মাসিস্ট ছাড়াই যেসব ফার্মেসি স্থাপন করা হয়েছে, তা আইনানুযায়ী অবৈধ। ওই সব অবৈধ ফার্মেসিতে কোনো ওষুধ কোম্পানি ওষুধ সরবরাহ করতে পারবে না। ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া যেসব ওষুধের দোকান চালু আছে, তা ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নীলফামারী জেলা শহরের বাটা মোড়ে মডেল ফার্মেসি এবং বড় বাজারে মডেল মেডিসিন শপ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনি আরও বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের সব ফার্মেসিকে মডেল ফার্মেসি বা মডেল মেডিসিন শপে রূপান্তর করা হবে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে মডেল ফার্মেসি এবং প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মেডিসিন শপ স্থাপনের পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরই মধ্যে দেশে ৩৭ হাজার মডেল মেডিসিন শপ এবং ৫০০ মডেল ফার্মেসি স্থাপন করা হয়েছে এবং এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এরই মধ্যে দেশে ৩৭ হাজার মডেল মেডিসিন শপ এবং ৫০০ মডেল ফার্মেসি স্থাপন করা হয়েছে এবং এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশে বিশ্বমানের ওষুধ তৈরি হয় উল্লেখ করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশের চাহিদার ৯৮ ভাগ ওষুধ দেশীয় কোম্পানির উৎপাদিত ওষুধ দিয়ে পূরণ হয়। আমাদের দেশের উৎপাদিত ওষুধ বিশ্বমানের। বর্তমানে আমাদের উৎপাদিত ওষুধ বহির্বিশ্বের ১৪৮টি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।’ মহাপরিচালক বলেন, মানুষ যেখান থেকে ওষুধ ক্রয় করে, সেই জায়গায় ওষুধের গুণগতমান ঠিক আছে কি না, সেটি দেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে মডেল ফার্মেসি, মডেল মেডিসিন শপ প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত থাকবে। রোগী কিংবা তাঁর স্বজন গুণগত মানসম্পন্ন ওষুধ যাতে সহজেই ক্রয় করতে পারেন, সে জন্য এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

পরে দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ‘বাংলাদেশে মডেল ফার্মেসি ও মডেল মেডিসিন শপের প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা এবং ‘নকল, ভেজাল, আনরেজিস্ট্রার্ড ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রতিরোধ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতির কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও জেলা বিসিডিএস সভাপতি হাকিম মো. মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী, সিভিল সার্জন মো. জাহাঙ্গীর কবির, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন, সহকারী পরিচালক অজিউল্লাহ, জেলা কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতির সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, তোবারক আলী, শফিউল আলম প্রমুখ।