লালমনিরহাটে ‘গোপন বৈঠক’ থেকে আটক জামায়াতের ৯

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ইউনিয়ন জামায়াতের আমিরসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে মোজাম্মেল হোসেন (৫৩) উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়ন জামায়াতের আমির। তিনি একই ইউনিয়নের কাশিরাম গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। আটক অন্যরা হলেন ইউনিয়নের কাশিরাম গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে শাহীন আলম (৩৫), মৃত ওসমান গনির ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৬৫), মৃত নজমুদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম (৫৫), মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে ফুয়াদ হোসেন (৪২) ও মৃত নজরুল হকের ছেলে সাবু মিয়া (৫০), একই ইউনিয়নের বৈরাতি গ্রামের ফজলে করিমের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০) ও ঈমান আলীর ছেলে ফরিদুল ইসলাম (৩২) এবং উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের জামির বাড়ি গ্রামের বেলাল মোস্তফার ছেলে আবু সাঈদ (২৭)। তাঁরা সবাই জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ তুষভান্ডার ইউনিয়নের মুন্সির বাজার এলাকায় জামায়াত কর্মী আবু বক্কর সিদ্দিকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান ওই বাড়িতে থাকা ৩০–৪০ জন। তবে পুলিশ সেখান থেকে ৯ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। মঙ্গলবার রাতেই কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনসারুজ্জামান বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটক ৯ জনকে আজ বুধবার সকালে লালমনিরহাট আদালতে পাঠানো হয়।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘জামায়াত নেতা মোজাম্মেল হোসেনের উপস্থিতিতে ওই গোপন বৈঠকে নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। আমরা গোপন সূত্রের মাধ্যমে এ সংবাদ পেয়ে যাই। দ্রুত সেখানে অভিযান চালিয়ে মোজাম্মেলসহ জামায়াতের ৯ নেতা-কর্মীকে আটক করেছি। রাতের আঁধারে দৌড়ে পালিয়ে যান ৩০–৪০ জন।’ বৈঠকস্থল থেকে উগ্রবাদী মতাদর্শের বই, প্রচারপত্র, চাঁদা আদায়ের রসিদ বই, দাওয়াতি কার্ড জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।