লালমনিরহাটে ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ’র উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ

মাটি খনন করে উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বুদারুবাশের তল গ্রামে
আবদুর রব

লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের বুদারুবাশের তল গ্রামে মাটি খনন করে ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ’র বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর তত্ত্বাবধান ও রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট, লালমনিরহাটের উদ্যোগে সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে খনন কার্যক্রম শুরু হয়। আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত সেখান থেকে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার, প্রপেলার, মূল ইঞ্জিন, ফুয়েল বার্নিং এক্সজোস্টার ও কয়েকটি গুলি উদ্ধার করা হয়।

আজ সকালে বুদারুবাশের তল গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, খনন কার্যক্রম চলছে। খননকাজের জন্য সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। দূর থেকে হাজারো উৎসুক মানুষ খননকাজ দেখছে।

ওই জমির মালিক রেজাউল করিম বলেন, ‘আগে থেকেই ওই জমি উঁচু-নিচু। শুক্রবার সেখানে মাটি সমান করছিলাম। তখন মাটির নিচে ধাতব কিছু আছে বলে মনে হলো। আমরা সেটা তুলতে পারিনি। পরে বিমানবাহিনীর কাছে খবর দিই।’
রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘গ্রামের বয়স্ক লোকজনের মুখে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই এলাকায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার কথা শুনেছি। কিন্তু সেটা যে আমাদের জমির মাটির নিচে পাওয়া যাবে, সেটা ভাবিনি। এখন বিমানবাহিনীর লোকজন তা তুলে নিয়ে যাচ্ছে, সেটাই ভালো।’

বিমানবাহিনীর তত্ত্বাবধান ও রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট, লালমনিরহাটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে বিমানবাহিনী, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেছি। জমির মালিকসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অন্যদের সহায়তায় ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে খননকাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বেশ কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করতে পেরেছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের জানামতে, এখানে ১৯৭১ সালে কোনো যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়নি। কাজেই এই ধ্বংসাবেশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হতে পারে।’