লালমনিরহাটে হঠাৎ অসুস্থ সমাজকল্যাণমন্ত্রী, হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। ছবিটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত সমাজকল্যাণমন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদকে রংপুর থেকে হেলিকপ্টারে করে আজ রোববার দুপুর দুইটার দিকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। এর আগে তাঁকে গতকাল শনিবার মধ্যরাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদ্‌রোগ বিভাগে ভর্তি করা হয়। আজ দুপুরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ছেলে ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে নিজ বাড়িতে অবস্থানকালে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। গ্রামের বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে গতকাল রাত আড়াইটার দিকে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে হৃদ্‌রোগ বিভাগে ভর্তি করা হয়। আজ বেলা সোয়া একটার দিকে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর সেনানিবাসে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়।

সমাজকল্যাণমন্ত্রীর ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঈদ উদ্‌যাপনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে খুব ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটাচ্ছিলেন তাঁর বাবা। ঠিকমতো তাঁর বিশ্রাম নেওয়া হয়নি। গতকাল রাতেও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা এলাকায় ঈদ পরবর্তী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তাঁর বাবা। অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে ফেরার পর তাঁর বাবা বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতালের হৃদ্‌রোগ বিভাগের প্রধান শাকিল গফুর বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন। তবে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বিমল রায় জানান, মন্ত্রী হৃদ্‌রোগের সমস্যায় ভুগছিলেন। এ ছাড়া তাঁর ডায়াবেটিস আছে। তাঁকে হাসপাতালে আনা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করেন। মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তাঁর পারিবারিক সিদ্ধান্তে তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।

এদিকে দুপুরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ঈদ উদ্‌যাপনের জন্য ২৯ এপ্রিল ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের বাড়িতে যান মন্ত্রী। এ সময় তিনি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন।