লালমনিরহাটের ধর্ষণ মামলার আসামি নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটে ভুল স্টেশনে নামা তরুণীকে (১৭) দল বেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলার এক আসামিকে শুক্রবার ভোরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জ পুলিশের সহায়তায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানা–পুলিশের অভিযানে মো. নুরু মিয়া (৪০) নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নুরু মিয়ার বাড়ি কালীগঞ্জের তালুক বাণী নগর গ্রামে। এর আগে ৯ অক্টোবর পুলিশ এ মামলার ৪ নম্বর আসামি মো. রকি মিয়াকে (১৯) গ্রেপ্তার করে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নুরু মিয়ার অবস্থান শনাক্ত হয়। এরপর কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরহাদ মণ্ডলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নারায়ণগঞ্জ পুলিশের সহায়তায় গত শুক্রবার ভোরে নুরু মিয়াকে আটক করে। ওসি জানান, শনিবার দুপুরে লালমনিরহাটের আদালতের মাধ্যমে নুরু মিয়াকে লালমনিরহাট জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

৬ অক্টোবর লালমনিরহাটের পাটগ্রামের তরুণী (১৭) তার বোনের বাড়ি হাতীবান্ধায় যাওয়ার জন্য পাটগ্রামের বাউরা রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠে। অসাবধানতাবশত হাতীবান্ধা রেলস্টেশনে না নেমে তরুণী কালীগঞ্জের কাকিনা রেলস্টেশনে নেমে যান। সেখানে স্থানীয় কিছু বখাটে যুবক তাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে এখানে–সেখানে ঘুরিয়ে সময় নষ্ট করে। রাতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের তালুক বাণী নগর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত সেচঘরে নিয়ে গিয়ে ওই তরুণীকে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

এ ঘটনায় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ‘ভুল স্টেশনে তরুণী, পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে দল বেঁধে ধর্ষণ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।