লাশের সঙ্গে পাওয়া দোকানের কার্ড ধরে জানা গেল খুনি কে

হত্যা
প্রতীকী ছবি

লাশের সঙ্গে পাওয়া দোকানের ভিজিটিং কার্ড দেখে নিহত নারী ও তাঁর হত্যাকারীর পরিচয় শনাক্ত করেছে নাটোর জেলা পুলিশ। হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের কথা জানাতে আজ রোববার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা বলেন, ১৩ জানুয়ারি দুপুরে লালপুর উপজেলার সাদিপুর গ্রামে রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে লালপুর থানার পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে। লাশটি শনাক্ত করতে না পারায় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। রহস্য উদ্‌ঘাটনে মাঠে নামে তিনটি দল। তারা মৃতদেহের সঙ্গে পাওয়া দোকানের ভিজিটিং কার্ডের সূত্র ধরে নিহত ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। ওই নারীর নাম শম্পা খাতুন (২৫)। তিনি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণপুর মহল্লার আবদুর রহমানের মেয়ে।

এসপি বলেন, মুঠোফোন ট্র্যাক করে পুলিশ ঢাকার সাভার ও আশুলিয়া, মানিকগঞ্জ, পাবনায় ব্যাপক অভিযান চালায়। গতকাল শনিবার পুলিশ গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় বাজার থেকে পাবনা জেলা সদরের চকবারেরা গ্রামের ভানু শেখের ছেলে আনছার শেখকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে শম্পা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, শম্পা তাঁর স্ত্রী ছিলেন। দুই বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। ১৩ জানুয়ারি রাতে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে শম্পা গোপালপুরের ভাড়া বাসা থেকে রাত ৪টার সময় বের হয়ে যান। তাঁর স্বামীও তাঁর পেছনে পেছনে যান। একপর্যায়ে সাদিপুর গ্রামে গিয়ে তাঁরা রেললাইনের ওপর বসে কথা বলতে থাকেন। হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে তাঁর স্বামী তাঁকে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন। গ্রেপ্তার আসামি আনছার শেখকে আজ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) তারেক জুবায়ের, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসিন, বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.খাইরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) মীর আসাদুজ্জামান ও তদন্তকারী কর্মকর্তা লালপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বক্কর সিদ্দীক উপস্থিত ছিলেন।