লৌহজং চ্যানেল দিয়ে গেল একটি ফেরি, আসবে দুটি

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথ
প্রথম আলো ফাইল ছবি

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে পাঁচটি ট্রাক নিয়ে লৌহজং চ্যানেল দিয়ে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে পৌঁছে গেছে একটি ছোট ফেরি। শুক্রবার বেলা ৩টা ২০ মিনিটে ফেরিটি শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে যায়। ওই পার থেকে লোড নিয়ে আসবে আরও দুটি ফেরি।
ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, ফেরিগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে। কোনো বাধা ছাড়া ফেরি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলে শনিবার সকাল থেকে এ নৌপথে আবারও ফেরি চলাচল শুরু হতে পারে।

শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবদুর নূর তুষার প্রথম আলোকে জানান, পদ্মা সেতুর ২৫ নম্বর পিলারের পাশ দিয়ে যাওয়া লৌহজং চায়না চ্যানেলটি খনন করা হয়েছে। তবে সেখানে এখনো প্রচুর পলি আসছে। বিআইডব্লিউটিএ খনন অব্যাহত রেখেছে। শুক্রবার বিকেলে পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চালানোর নির্দেশ আসে। তাই পাঁচটি ট্রাক দিয়ে ছোট ফেরি কাকলী এ ঘাট থেকে ছাড়া হয়েছে। ফেরিটি নিরাপদে ওই পাড় পৌঁছাতে পারলে শনিবার থেকে আবারও ফেরি চলাচল শুরু হতে পারে।

শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. হেলাল উদ্দিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জানান, পাঁচটি ট্রাক নিয়ে ফেরি কাকলী কাঁঠালবাড়ি ঘাটের কাছে পৌঁছে গেছে। ওই পাড় থেকে ক্যামেলিয়া ও কাকলী ফেরি আবারও লোড নিয়ে শিমুলিয়ায় আসবে। এ ঘাটে পারাপারে অপেক্ষায় আছে আরও ২০টি ট্রাক। ঘাটে নতুন গাড়ি আসার চাপ নেই। দু–একটি আসলেও আবার ফিরে যাচ্ছে। ফেরি চলাচল শুরু হলে যানবাহন আসা শুরু করবে।

ঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩ সেপ্টেম্বর নাব্য–সংকটের কারণে শিমুলিয়া–কাঁঠালবাড়ী নৌপথে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আট দিন খনন করে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের চ্যানেলটি সচল করার পর ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে শিমুলিয়া ঘাট থেকে তিনটি ফেরি কাঁঠালবাড়ীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ১৩ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুর ১২টার দিকে আবারও নাব্য–সংকটের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুই দিন বন্ধ রাখার পর ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পালের চরের নতুন চ্যানেল দিয়ে ফেরি সার্ভিস শুরু করা হয়। সেদিন দীর্ঘ ২৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছোট একটি ফেরি পাঁচ ঘণ্টা পর কাঁঠালবাড়ী ঘাটে পৌঁছায়। সেদিন আর কোনো ফেরি চলেনি। বুধবার মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে একটি বড় ফেরি শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। প্রায় আট ঘণ্টায় ফেরিটি শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছায়। দীর্ঘ পথে ঝুঁকির শঙ্কা থাকায় আবারও বৃহস্পতিবার ফেরি বন্ধ ছিল।

আরও পড়ুন