শরতে ভাসল মৌলভীবাজারের বড়লেখা

পাহাড়ি ঢলে ডুবে যায় মৌলভীবাজার-বড়লেখা সড়কের বড়লেখা পৌরসভার দক্ষিণাংশছবি: প্রথম আলো

গেল দুই বছর বর্ষাকাল ভালোই পার করেছেন মৌলভীবাজারের বড়লেখা শহরবাসী। এবারও বর্ষা ভালোই গেছে। তাদের ঢলের পানিতে ডুবতে হয়নি। কিন্তু শরতে এসে তাদের ভাসতে হয়েছে পানিতে। টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেল নিচু এলাকার সড়ক, দোকানপাট ও বাসাবাড়ি।

গত শনিবার রাত ১১টা থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত বড়লেখা উপজেলায় টানা ভারী বর্ষণ হয়েছে। এতে পাহাড়ি ঢল নেমে বড়লেখা পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যায়। প্রায় দুই শতাধিক দোকানের মালামাল নষ্ট হয়েছে। পৌর শহরের উজানে নদী ও ছড়া ভরাট এবং শহরের মধ্যে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা না রেখে অপরিকল্পিত বাসাবাড়ি নির্মাণের কারণেই এমনটা হয়েছে।

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পাহাড়ি ঢলে ডুবে যাওয়া সড়ক
ছবি: প্রথম আলো

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বড়লেখা পৌর শহরের উত্তর চৌমোহনী, কলেজ রোড, দক্ষিণ বাজার, পাখিয়ালা, উপজেলা চত্বর, পানিদারসহ বিভিন্ন নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক সড়কের কাঁঠালতলি, পানিদার, উপজেলা চত্বর, বড়লেখা থানা ও বড়লেখা-শাহবাজপুর সড়কের চৌমোহনী এবং কলেজ রোড এলাকায় সড়ক তলিয়ে গেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারেনি।

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পাহাড়ি ঢলে ডুবে যাওয়া দোকানপাট
ছবি: প্রথম আলো

এদিকে গত রোববার বিকেল থেকে সড়কের পানি কমতে শুরু করে। রাত আটটার মধ্যে সড়ক, দোকান ও বাসাবাড়ির পানি নেমে যায়। এই ঢলে এসব এলাকার পুকুর ও মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে। লোকজনকে জাল দিয়ে ভেসে আসা মাছ ধরতে দেখা গেছে।


বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দাবি ছিল পৌরসভার উজানে সদর (বড়লেখা) ইউনিয়ন অংশে নিখড়ি ছড়া দুই কিলোমিটার এবং ষাটমা নদী তিন কিলোমিটার খননের। উজানের এই অংশ খনন না করা পর্যন্ত আকস্মিক বন্যা থেকে শহরকে রক্ষা করা যাবে না।’