শরীয়তপুরে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, দোকান ভাঙচুর, আটক ৪

শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে বিপনিবিতানে ভাঙচুর করা একটি অফিস কক্ষ
ছবি: প্রথম আলো

শরীয়তপুর জেলা শহরের পালং বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে পালং বাজারের রাজগঞ্জ ব্রীজ এলাকায় শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাচ্চু ব্যাপারীর সমর্থকদের সঙ্গে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ সরদারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের সময় রাশেদ সরদারের চাচা শফিজ উদ্দিন সরদারের মালিকানাধীন বিপণিবিতানের ছয়টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাশেদ সরদার, তাঁর চাচাতো ভাই আলী আজগর সরদার, আসলাম সরদার, দোকান কর্মচারী সাজ্জাদ হোসেনকে আটক করেছে।

পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাশেদ সরদার উপজেলার পাটানি গাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি শহরে থেকে রাজনীতি করেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাচ্চু ব্যাপারীর সমর্থক ছাত্রলীগ কর্মী সজীব সরদারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ সৃষ্টি হয়। সোমবার সন্ধ্যায় রাশেদ ও তাঁর সমর্থকেরা সজীবকে মারধর করেন। এ খবর পেয়ে বাচ্চু ব্যাপারীর সমর্থকেরা রাশেদের চাচার বিপণিবিতানে জড়ো হন। তখন রাশেদের সমর্থকেরা ওই ভবনের ছাদ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এ সময় আতঙ্কে বাজারের ব্যবসায়ীরা তাঁদের দোকানপাট বন্ধ করে দেন। তখন হামলা চালিয়ে ওই বিপণিবিতানের ছয়টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। অন্তত এক ঘণ্টাব্যাপী ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটতে থাকে। পরে পুলিশ রাশেদসহ চার ব্যক্তিকে আটক করে।

ছাত্রলীগ কর্মী সজীব সরদার বলেন, ছাত্রলীগের কর্মসূচির বিষয় নিয়ে কথা বলতে নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে ওই মার্কেটের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন রাশেদ ও তাঁর লোকজন তাঁকে মারধর করেন এবং দেশি অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করেন। খবর পেয়ে তাঁর আত্মীয়স্বজন সেখানে এলে তাঁদের ওপরও রাশেদের লোকজন হামলা করেন। কারা মার্কেটের দোকান ভাঙচুর করেছেন, তা তাঁর জানা নেই।

রাশেদ সরদারের চাচা শফিজ উদ্দিন সরদার বলেন, ‘সদ্য সমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচনে রাশেদ ও আমার ছেলেরা বাচ্চু ব্যাপারীর পক্ষে ছিল না। এ নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত। এ কারণে তাঁর সমর্থকেরা এ হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন। উল্টো পুলিশ আমার ছেলেদের আটক করেছে।’

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। ওই নেতা রাশেদ একটি ডাকাতি মামলারও আসামি। এ হামলার ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। একপক্ষ মামলা করার জন্য আবেদন করেছে।