শরীয়তপুরে কলেজে ভর্তিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করে বিজ্ঞপ্তি

মাদক মানে বিষ
প্রতীকী ছবি

কলেজে ভর্তির সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ডোপ টেস্ট বা ড্রাগ টেস্ট বাধ্যতামূলক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে শরীয়তপুরের সব সরকারি–বেসরকারি কলেজ। কোনো শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত কি না, তা চিহ্নিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।

শরীয়তপুর সরকারি কলেজ সূত্র জানায়, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সারা দেশে কলেজে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের মাদকের ডোপ টেস্ট করা হবে। ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর চিঠি দিয়ে কলেজগুলোকে জানায়, ভর্তির সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মাদকের ডোপ টেস্ট করার কথা।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠি পাওয়ার পর ১০ জুন থেকে শরীয়তপুরের কলেজগুলো এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ভর্তি হতে আসা সব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ডোপ টেস্টের রিপোর্ট সংগ্রহ করে ভর্তির অন্যান্য কাগজের সঙ্গে তা জমা দিতে হবে।

শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, সরকারি বা সরকার স্বীকৃত যেকোনো স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে ডোপ টেস্ট করা যাবে। রক্ত ও ইউরিন পরীক্ষায় মাদকের উপস্থিতি জানা যাবে। শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করার সময় স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বাত্মক সহযোহিতা করবে। কারও শরীরে মাদকের উপস্থিতি পাওয়া গেলে চিকিৎসাসহায়তাও করা হবে।

শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের সিদ্ধান্তটা মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের। তা বাস্তবায়ন করার জন্য তাঁরা বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। ডোপ টেস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন, কোনো শিক্ষার্থী মাদকে আসক্ত হয়েছে কি না। যারা মাদকাসক্ত চিহ্নিত হবে, তাদের কাউন্সেলিং ও চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা মাদক গ্রহণে সাহস পাবে না। মাদকের থাবায় অনেক মেধাবী মুখ ঝরে পরার ঘটনা অহরহ ঘটছে। তাঁদের মাদক থেকে দূরে রাখতে পারলে শিক্ষাঙ্গনের অনেক বিশৃঙ্খলা এড়ানো সম্ভব হবে।

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এস এম আশ্রাফুজ্জামান বলেন, তরুণ ও কিশোরেরা শিক্ষাঙ্গনে অনেক বিপথগামীর পাল্লায় পড়ে মাদক নেয়। যার প্রভাব পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ে। কলেজে প্রবেশের সময়ই যদি ডোপ টেস্টের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়, কেউ মাদকে আসক্ত কি না, সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া যায়। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও পুলিশ যৌথভাবে কাজ করে মাদক নির্মূল করতে হবে।