শরীয়তপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আ. লীগের দুই প্রার্থী নির্বাচিত হচ্ছেন

আব্দুস সালাম খান ও হারুন অর রশিদ
ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুর সদর উপজেলার দুটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত দুই প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। দুই প্রার্থী হলেন চন্দ্রপুর ইউনিয়নের আব্দুস সালাম খান ও চিতলিয়া ইউনিয়নে হারুন অর রশিদ। অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। স্থানীয় সাংসদ ইকবাল হোসেন অপুর অনুরোধে অন্য প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা যায়।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ১১ নভেম্বর শরীয়তপুর সদরের ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে চন্দ্রপুর ও চিতলিয়া ইউনিয়ন বাদে ছয়টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন।

চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান উপজেলা কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম খান। আর মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক মোল্যা। তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাই এই ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আব্দুস সালাম খান।

চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন অর রশিদ। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদার। স্থানীয় সাংসদ ইকবাল হোসেনের অনুরোধে আব্দুস সালাম হাওলাদার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখন ওই ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন হারুন অর রশিদ।

চিতলিয়ার বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি যাতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেই, তার জন্য দুই দিন সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু আমার বাড়িতে এসেছেন। আমাকে অনুরোধ করেছেন। আর যিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন হারুন অর রশিদ, তাঁর সমর্থকেরা প্রতিনিয়ত আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন, হামলা-মামলা দিচ্ছিলেন। তাই বাধ্য হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারুন অর রশিদ বলেন, ‘দলের প্রতি আনুগত্য ও সম্মান দেখিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। কোন প্রকার চাপ দেওয়া হয়নি।’
চন্দ্রপুরের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক মোল্যা বলেন, ‘সাংসদের অনুরোধে দলের প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। তাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি।’

এ বিষয়ে জানতে শরীয়তপুর-১ আসনের সাংসদ ইকবাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে কল দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দিয়ে প্রার্থীদের পাঠিয়েছেন। তাঁর প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিদ্রোহী দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে তাঁদের অনুরোধ করা হয়েছিল। কাউকে কোনো চাপ দেওয়া হয়নি।