শর্তে শিথিলতা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের, হিলিতে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক

হিলি স্থলবন্দর শুল্কস্টেশনের কাউন্টারে দাঁড়িয়ে দুই ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের চালক কাগজপত্র দেখাচ্ছেন। সম্প্রতি তোলা
প্রথম আলো

করোনার সংক্রমণ রোধে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসা ভারতীয় গাড়িচালকদের টিকা নিশ্চিত করার বিষয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের কাছে চিঠি পাঠিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। আজ বুধবার সকাল থেকে পুরোপুরি আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশি আমদানিকারকদের পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্য আটকে থাকায় শর্তে শিথিলতা আনতে হয়েছে তাঁদের। ফলে পণ্য আমদানি-রপ্তানি রয়েছে স্বাভাবিক।

বুধবার বিকেল চারটা পর্যন্ত ৮০টি পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট সভাপতি আবদুল আজিজ।

এর আগে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতের ব্যবসায়ী সংগঠনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলাদেশে গাড়ি প্রবেশের কথা জানানো হয়েছিল। ভারতীয় গাড়িচালকদের টিকা নিশ্চিত করা, দিনের গাড়ি দিনের মধ্যে ফেরত যাওয়া, এক দিনে সর্বোচ্চ ৮০টি গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করা এবং বিকেল চারটার পরে ভারতীয় পণ্যবাহী কোনো গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ না করার শর্ত দিয়েছিল বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সংগঠন।

ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জানান, টিকার সংকটের কারণে সব চালককে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়।

পত্রের জবাবে ৬ জুন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জানান, টিকার সংকটের কারণে সব চালককে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। এ ছাড়া আগের মতো সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি চালু রাখার দাবি জানান তাঁরা। অন্যথায় ৯ জুন থেকে বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দেওয়া চিঠির ভিত্তিতে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি সহযোগী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা গতকাল মঙ্গলবার রাতে জরুরি বৈঠক করেন। সেখানে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজসহ অন্যান্য কাঁচামালের ট্রাক দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ওপারে আটকে আছে। এসব পণ্য সময়মতো ঢুকতে না পারলে নষ্ট হয়ে যাবে এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন আমদানিকারকেরা। সবকিছু বিবেচনায় আপাতত বন্ধ আমদানি বন্ধের বিষয়ে শিথিলতা আনা হয়েছে। তবে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আবার চিঠি পাঠিয়ে আগামী শুক্রবার শূন্যরেখায় দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে। বৈঠকে উভয় দেশের স্বার্থরক্ষার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।