শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের পাশের মেস থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

তাওহিদুল আলম
সংগৃহীত

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে সিলেট নগরের আখালিয়া নয়াবাজারে একটি মেসের কক্ষ থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার রাত নয়টার দিকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। ওই শিক্ষার্থীর নাম তাওহিদুল আলম (২২)। তাঁর গ্রামের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। ক্যাম্পাসের পাশের আখালিয়া নয়াবাজারের স্বপ্নিল সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় মেসের ৬ নম্বর কক্ষে ভাড়া থাকতেন তাওহিদুল।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্যাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে শাকিল নামের এক ব্যক্তি ফোন করে জালালাবাদ থানায় ঘটনাটি জানান। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান বলেন, কক্ষের জানালার রেলিংয়ের সঙ্গে প্লাস্টিকের তৈরি রশি দিয়ে তাওহিদুলের গলায় ফাঁস লাগানো ছিল। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লাশ উদ্ধার করে রাতেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

তাওহিদুলের সহপাঠীরা জানান, চুপচাপ স্বভাবের তাওহিদুল কারও সঙ্গে বেশি মিশতেন না। বাড়িতে কিংবা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা শেষ করে সরাসরি মেসে চলে যেতেন। সহপাঠীদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল না।

তাওহিদুলের পরিবারের এক সদস্যের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী মার্চে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার কথা। এ জন্য তাওহিদুল মেসে উঠেছিলেন বলে তিনি জেনেছেন। পরিবারের সদস্যরা লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিতে চাচ্ছেন। তবে আমরা চাইছি ময়নাতদন্ত হোক।’