শাবিপ্রবিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে, সোমবার বেলা ১২টায়
ছবি: প্রথম আলো

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে শিক্ষার্থীরা ওই মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান এবং হামলার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। একই ঘটনায় গত রোববার রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল হক বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকার পরও সরকার যেভাবে তাঁকে সমর্থন দিয়েছে, আমরা আশা করছি, শাবিপ্রবির উপাচার্যের ব্যাপারে সরকার তেমন অন্ধ সমর্থন দেবে না।’

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি দীপঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘আজ সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে একাত্মতা পোষণ করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, বাংলাদেশে যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় আছে, তার কোনোটাই ছাত্রবান্ধব নয়। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রবান্ধব হোক। নিজেদের অধিকার আদায় করতে শিক্ষার্থীদের যেন আর রক্ত ঝরাতে না হয়।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ এবং হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিতসহ ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন করছেন ওই হলের ছাত্রীরা। আন্দোলন চলাকালে শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

হামলার প্রতিবাদ এবং তিন দফা দাবিতে রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেলে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশ সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে প্রবেশ করে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করতে যান। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।