শাল্লায় আ. লীগের প্রতিনিধিদল, হামলা প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকার আহ্বান

হামলার শিকার সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রাম পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে তোলা ছবি
প্রথম আলো

হামলার শিকার সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রাম পরিদর্শন করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। তাঁরা আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গ্রামে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ঘুরে দেখেন এবং মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। পরে গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সমবেত লোকজনের উদ্দেশে বক্তব্য দেন তাঁরা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে নগদ অর্থ, চাল, ডাল, তেলসহ বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও শফিউল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। আহমদ হোসেন দলের সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এনামুল কবির, শাল্লা উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন চৌধুরী প্রমুখ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন।

আহমদ হোসেন তাঁর বক্তব্যে এসব ঘটনা প্রতিরোধ করতে লাঠি হাতে প্রস্তুত থাকতে যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ভয় নেই, শেখ হাসিনা আপনাদের সঙ্গে আছেন। যুবকেরা যুদ্ধ করেন আর নেতৃত্ব দেন প্রবীণেরা। হাজার হাজার যুবক লাঠি নিয়ে তৈরি থাকবেন। লাঠি দেখলে সাপ গর্তে ঢোকে আর মৌলবাদীরা দৌড়ে পালায়। বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধের সৈনিকেরা পরাজয় মানে না। মৌলবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। আমরা তৈরি আছি।’

নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর উদ্দেশে আরেক কেন্দ্রীয় নেতা শফিউল আলম চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি। স্থানীয় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শুরু থেকেই আপনাদের পাশে আছেন। ওয়াজ মাহফিলের নামে, ধর্মের নামে বিদ্বেষ ছড়ানো যাঁদের কাজ; তাঁরা মানবিকতা বোঝেন না, ইসলাম বোঝেন না। তাঁরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালিয়েছেন। তাঁরা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে চান। তাঁরা একাত্তরের পরাজিত শক্তি, তাঁদের প্রতিহত করতে হবে।’

হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে ১৭ মার্চ নোয়াগাঁও গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই দিন শাল্লা উপজেলার কাশিপুর, দিরাই উপজেলার নাসনি, সন্তোষপুর ও চণ্ডীপুর গ্রামের মানুষ লাটিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামের মানুষের বাড়িঘর, মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় শাল্লা থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। পুলিশ এ পর্যন্ত ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।