শাহরাস্তিতে পুলিশের ওপর গ্রামবাসীর হামলার ঘটনায় মামলা, আটক ৭

আটক
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় তিন ভাইকে কুপিয়ে আহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর গ্রামবাসীর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ সকালে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় একটি মামলা করেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দেবতলা মিজির বাড়ি এলাকার এক পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে তিন ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রতিবেশী সুক্কুর আলী (৪০) নামের এক ব্যক্তি কুপিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসী পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে শাহরাস্তি থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আরিফ (৩৪) আহত হন।

আহত তিন ভাইয়ের মা মিনু বেগম জানান, ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাঁর ছোট ছেলে মিনহাজ (৭) পাশের বাড়ির সুক্কুরের পুকুরে ছিপ দিয়ে মাছ ধরছিল। এ সময় সুক্কুর বিষয়টি দেখে ফেললে তিনি মিনহাজের পেটে শাবল দিয়ে আঘাত করেন। মিনু বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘এ সময় আমার অন্য দুই ছেলে পলাশ (২০) ও নজরুল (১৬) মিনহাজকে বাঁচাতে গেলে সুক্কুর ধারালো ছুরি দিয়ে আমার তিন ছেলেকে একের পর এক আঘাত করে।’

এ সময় আহত ব্যক্তিদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে সুক্কুরকে হাতেনাতে আটক করে। এরপর তাঁরা আহত তিন ভাইকে উদ্ধার করে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এলাকাবাসী সূত্র জানায়, হাসপাতালে তিন ভাই ভর্তির পরপরই মিনহাজ মারা গেছে, এমন গুজব ওঠে।

এতে গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত সুক্কুরকে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) আবুল কালাম আজাদসহ পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত সুক্কুরকে ধরতে গেলে উত্তেজিত গ্রামবাসী ভুল বুঝে পুলিশের ওপর হামলা করে।

এতে পুলিশের এএসআই আরিফ আহত হন বলে নিশ্চিত করেন আবুল কালাম আজাদ। পরিস্থিতি খারাপ দেখে পুলিশ কৌশলে সন্ধ্যা সাতটায় সুক্কুরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে গতকাল রাতেই ওই তিন ভাইয়ের আত্মীয়সহ গ্রামের ছয়জনকে থানা এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ।

শাহরাস্তি থানার ওসি আবদুল মান্নান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুক্কুরসহ ওই গ্রামের সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। তবে তিন ভাইয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি বলে জানান তিনি।