শিকারির কাছ থেকে পাখি উদ্ধার করে সাফারি পার্কে অবমুক্ত

শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে অবমুক্ত করার পর একটি ডাহুক
ছবি: প্রথম আলো

আটকে রাখা পাখি দিয়ে ফাঁদ পেতে দেশি পাখি ধরতেন এক শিকারি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ শনিবার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর গ্রামের ওই শিকারির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২০টি পাখি উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে।

বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট সূত্র জানায়, উদ্ধার পাখিগুলোর মধ্যে আছে কালিম সাতটি, ডাহুক তিনটি, বালিহাঁস দুটি, ঘুঘু পাঁচটি ও শালিক তিনটি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন সাতখামাইর গ্রামে পাখি উদ্ধারে লোক পাঠান। ইউনিটের জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট সাদিকুল ইসলাম সেখানে অভিযান চালান। সেখান থেকে পাখিগুলো উদ্ধার হলেও শিকারিকে পাওয়া যায়নি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালকের নির্দেশনায় উদ্ধার পাখিগুলো সাফারি পার্কে আনা হয়। এগুলোর মধ্যে কালিম ছাড়া বাকি সব পাখিই পার্কের প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়েছে। কালিমগুলো প্রজননের উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলকভাবে একটি স্থানে রাখা হয়েছে।

শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে অবমুক্ত করার পর একটি ডাহুক
ছবি: প্রথম আলো

এ এস এম জহির উদ্দিন আকন প্রথম আলোকে বলেন, পাখি দিয়ে পাখি শিকার করে সেগুলো বিক্রি করতেন তিনি। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি। তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে দুর্লভপুর গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে নবীন হোসেনকে পাওয়া যায়। তিনি বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে জানতেন না। পরে তাঁকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। উদ্ধার পাখিগুলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে।