শিক্ষক ও সহপাঠীদের চেষ্টায় স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ

বাল্যবিবাহ
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় শিক্ষক ও সহপাঠীদের চেষ্টায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে এ বিয়ে বন্ধ করে দেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিহাইর গ্রামের আউয়াল মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়। আগামীকাল শুক্রবার এই বিয়ে হওয়ার কথা। মেয়েটির বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীরা এতে বাধা দেন। কিন্তু মেয়েটির মা–বাবা তা না মেনে বিয়ের আয়োজন করতে থাকেন। পরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিষয়টি ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়াকে জানান। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউএনও মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেন। এ সময় তিনি এ বিয়ের আয়োজনের দায়ে মেয়েটির মা–বাবার মুচলেকা নেন।

জানতে চাইলে ইউএনও পঙ্কজ বলেন, তিনি মেয়েটির মা–বাবার কাছে বাল্যবিবাহের নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেন। তাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত আর বাল্যবিবাহের আয়োজন করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন। মেয়েটির পড়াশোনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।