শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে নুসরাতের বাবার মানববন্ধন
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামে শিশু নুসরাত জাহানের ‘আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী’ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্বজন ও স্থানীয় লোকজন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় গ্রামে নুসরাতের কবরের পাশে সাতলা-বাগধা সড়কে নুসরাতের বাবা সুমন মিয়ার উদ্যোগে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। তবে নুসরাতের মা বলেন, প্রকৃত খুনিকে রক্ষায় সুমন মিয়া বিচার চাওয়ার নামে নাটক সাজিয়ে নিজ উদ্যোগে মানববন্ধন করিয়েছেন। বিতর্ক সৃষ্টি করে হত্যা মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার পাঁয়তারা করেছেন সুমন মিয়া ও সতিন ঝুমুর বেগম।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম মাওলা, স্থানীয় আলমগীর মিয়া, বজলু রহমান, সাত্তার মিয়া, হাবিবুর রহমান, ছলেমান মিয়া, শামীম মিয়া, লতিফ মিয়া, সৎমা ঝুমুর বেগম, বাবা সুমন মিয়া, ফুফু লিপি বেগম প্রমুখ।
নুসরাত দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমির তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ৯ সেপ্টেম্বর নুসরাতের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করা হয়। এই আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী হিসেবে দারুল ফালাহর শিক্ষক সফিকুল ইসলামকে দায়ী করেন নুসরাতের বাবা। একই অভিযোগে তিনি মামলাও করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তাঁর মেয়ে সাময়িক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এতে শিক্ষক সফিকুল মেয়েকে গালিগালাজ ও মারধর করেন। অপমানে ও অভিমানে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করে।
তবে নুসরাতের মা তানিয়া আক্তার এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় তিনি স্বামী মো. সুমন মিয়া, সতিন ঝুমুর বেগমসহ চারজনকে আসামি করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, নুসরাতের দাদা আবদুর রহিম তাঁর সম্পত্তি নাতনির নামে লিখে দেবেন শুনে সুমন ও ঝুমুর মিলে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে। পরে নুসরাত আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালান। ঘটনা ধামাচাপা দিতে নুসরাতের বাবা তড়িঘড়ি করে ঘটনার রাতেই থানায় মামলা করেন।
আজকের মানববন্ধনে সুমন মিয়া বলেন, ‘নুসরাতের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী শিক্ষক সফিকুল ইসলামকে রক্ষায় একটি মহল বিষয়টি নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা সফিকুলের সঙ্গে মীমাংসার প্রস্তাব দিলে তা আমি প্রত্যাখ্যান করায় মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।’
মানববন্ধন চলাকালে অন্য বক্তারা শিক্ষক সফিকুলকে গ্রেপ্তার না করলে বৃহত্তর কর্মসূচি আয়োজন করার হুমকি দেন।