শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। চৌহাট্টা এলাকা, সিলেট নগর, ২৫ ফেব্রুয়ারি
ছবি: প্রথম আলো

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে সিলেটে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। নগরের চৌহাট্টা মোড়ে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত বিভিন্ন দাবি জানিয়ে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।

এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্থগিতকৃত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষোভকারীরা একপর্যায়ে চৌহাট্টা মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় চৌহাট্টা মোড়ের মিরবক্সটুলা-রিকাবীবাজার, আম্বরখানা-বন্দরবাজার সড়কে কয়েক শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। বেলা দেড়টার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করার আহ্বান জানিয়ে জনভোগান্তি দূর করতে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

এর আগে মানববন্ধন কর্মসূচিতে সিলেট এম সি কলেজের স্নাতকোত্তর গণিত বিভাগের পরীক্ষার্থী আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন নিন্টু মালাকার, দোয়েল রায়, শ্যামলী দাস, গোলাম কিবরিয়া, সৈয়দ আকমল হোসাইন, মোহাম্মদ হোসাইন, সৈকত ভৌমিক প্রমুখ।

কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, যেখানে সারা দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা থেকে শুরু করে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে দেশের শিক্ষা খাতকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক। দেশের সর্বক্ষেত্রে মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে। তবে শিক্ষা ক্ষেত্রে করোনার দোহাই দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের জীবনে অভিশাপ নেমে আসছে। একই সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা স্থগিত করে শিক্ষার্থীদের জীবনে আরেক অভিশাপ নিয়ে আসা হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন স্থবিরতা শিক্ষার্থীদের হতাশাগ্রস্ত করছে বলেও জানান তাঁরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা শাহবাগ ও চট্টগ্রামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানান। সে সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানান।

বেলা পৌনে দুইটার দিকে শিক্ষার্থীরা সিলেট জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলামের হাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর বিভিন্ন দাবিসংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।