শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের বাড়তি চাপ, ভোগান্তি

কুয়াশার কারণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে
ফাইল ছবি

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত শুধু শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আছে ৬ শতাধিক যানবাহন। এ ছাড়া নৌপথের শিমুলিয়া-মাওয়া সড়কের দুই কিলোমিটারে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকেরা।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক( বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, কুয়াশায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়া, আটরশির মাহফিল ও শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

ঘাট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে  ছোট–বড় যানবাহনে করে শিমুলিয়া ঘাটে উপস্থিত হন। এরপর তাঁরা ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটে করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছিলেন। বিকেলের পর থেকে এই ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেক বেশি বেড়ে যায়। এ ছাড়া দুই দিন ধরে কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। গতকাল চার ঘণ্টা ও আজ ভোর চারটা থেকে সকাল সোয়া সাতটা পর্যন্ত চার ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ঘাটে অপেক্ষমাণ গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গিয়ে আরও দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক( বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ছোট-বড় ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটের অবস্থা ভালো নয়। ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ। ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় ঘাটে পারাপারের জন্য ৭ শতাধিক যানবাহন অপেক্ষমাণ আছে। এসব যানবাহনের মধ্যে ছোট গাড়ি ৪০০, শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন আছে।

শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মো. হিলাল উদ্দিন বলেন, গতকাল সকাল থেকে এই ঘাটে যানবাহনের চাপ ছিল। মধ্য রাত থেকে এই চাপ কয়েক গুণ বেড়েছে। শিমুলিয়া ঘাটের কোথাও গাড়ি রাখার জায়গা নেই। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার চার রাস্তার মোড় থেকে শিমুলিয়া ঘাট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে মালবাহী ট্রাক অপেক্ষমাণ আছে।