শিমুলিয়ায় ফেরির আশায় ঘাট থেকে ঘাটে ছুটছেন যাত্রীরা

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আজ সোমবার সকালে পারাপারে অপেক্ষায় আছেন কয়েক হাজার যাত্রী
প্রথম আলো

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের চাপ অব্যাহত আছে। আজ সোমবার সকালেও শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আছেন কয়েক হাজার যাত্রী। ফেরি বন্ধ থাকায় সকাল থেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই নৌপথের অপেক্ষমাণ যাত্রীরা। ফেরির আশায় এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে ছুটছেন তাঁরা।

ঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোররাত থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে জড়ো হয়েছেন। তাঁরা সকাল থেকে ফেরি ছাড়ার অপেক্ষায় আছেন। সকাল ৬টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সবাহী একটি ফেরি ছেড়ে গেলেও আর কোনো ফেরি ছেড়ে যায়নি। এদিকে শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশেমুখ শিমুলিয়া-ভাঙা সড়কে মোতায়েন করা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সেখানে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হলেও বিজিবির টহলের মধ্যে এসব যাত্রী ঘাটে জড়ো হয়েছেন। এ ছাড়া শিমুলিয়া ঘাটে ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে মালবাহী গাড়ির লম্বা সারি রয়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় আছে প্রায় ৪৫০টি যানবাহন।

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শিমুলিয়া ৩ নম্বর ঘাট এলাকায় দেখা যায়, কয়েক হাজার যাত্রী ফেরির জন্য পন্টুনে অপেক্ষা করছেন। এ সময় ফেরি ছাড়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। দীর্ঘ সময় ৩ নম্বর ঘাটে থাকার পর যাত্রীরা আবারও ২ নম্বর ঘাটের দিকে ছুটতে থাকেন। কিছু সময় পর আবার ফেরির আশায় ৪ নম্বর ঘাটে ছোটেন তাঁরা।

এ সময় ঘাটের যাত্রীরা বলেন, তাঁরা রোজা রেখে ভোর থেকে ঘাটে আছেন। এখন রোদে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন। কখনো ফেরি চলছে, কখনো ফেরি বন্ধ থাকছে। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে আছেন। এক যাত্রী বলেন, ‘কী যে ভোগান্তিতে আছি, শুধু আমরাই জানি! হয় একেবারেই ফেরি বন্ধ করে দিক, নয়তো চলাচল স্বাভাবিক করা হোক।’

শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. হিলাল উদ্দিন বলেন, সকাল ৬টার পর এ ঘাট থেকে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে একটি ছোট ফেরি ছেড়ে গেছে। নিষেধাজ্ঞার পরও যাত্রীরা বিভিন্নভাবে ঘাটে এসে জড়ো হচ্ছেন। এ মুহূর্তে ঘাটে ও সড়কে সাড়ে চার শতাধিক মালবাহী যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। ফেরি চলবে কি না, সেটা বিআইডব্লিউটিসি বলতে পারবে।

শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, যদি অ্যাম্বুলেন্স আসে, সে ক্ষেত্রে হয়তো ফেরি চালানো হতে পারে। যাত্রীদের চাপ বাড়লে ফেরি চলবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের পরামর্শ নিয়ে বিবেচনা করা হবে।