শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত শওকতের ঘর মেরামতে পাশে দাঁড়াল বন্ধুসভা

বন্ধুদের দেওয়া সহযোগিতার অর্থ দিয়ে বৃদ্ধ শওকতের ঘরের জন্য টিন কিনে দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হাতিবান্ধা উপজেলার পূর্ব সারডুবি গ্রামে
ছবি: সংগৃহীত

বৃদ্ধ শওকতের একটিমাত্র শোবার ঘর। দিন কয়েক আগে প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টিতে ফুটো হয়ে গেছে সেই ঘরের টিনের চালা। পরের দিন আবার বৃষ্টি। ফুটো হওয়া টিন দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি। স্ত্রীকে নিয়ে ঘরে থাকা দায় শওকতের।

এ খবর পান দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা প্রথম আলো বন্ধুসভার অর্থবিষয়ক সম্পাদক সাজিয়া আফরিন। বিষয়টি নিয়ে বন্ধুসভার অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। এরপর বন্ধুদের দেওয়া সহযোগিতার অর্থ দিয়ে মঙ্গলবার শওকতকে টিন কিনে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে দেওয়া হয়েছে মেরামতের খরচও।

শওকতের (৬৫) বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সারডুবি গ্রামে। পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন শওকত। বয়সের ভারে শরীর নুয়ে পড়েছে এখন। অধিকাংশ সময় কাটে শুয়েবসে। দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই বর্তমান পথচলা। স্ত্রী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কাবিখা–কাবিটা প্রোগ্রামসহ দিনমজুরির কাজ করেন। তাঁর আয় দিয়েই দিন চলছে এই দম্পতির সংসার।

মঙ্গলবার টিন ও ঘর মেরামতের অর্থ হাতে পেয়ে শওকত বলেন, ‘খুব খুশি হয়চুং। অভাবের দিনোত এই রকম সহায্য পাইছোং।’ তিনি বলেন, ‘একে তো কামকাজ নাই। তার উপুরোত ঝড়িতুফানোত ঘরের ছাউনি নষ্ট হয়্যা গেইছে। মেলাজনের কাছোত গেইছোং। কিন্তু কায় দিবে, সবারে তো এখে অবস্থা। ভালো নাগেছে, খাই, না খাই অন্তত মাথাগোঁজার ঠাইটা তো হৈল।’

হাজী দানেশ বন্ধুসভার সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সহমর্মিতার ঈদ’ নামে বন্ধুসভা দুস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। নিজেরা অল্পকিছু টাকা দিয়ে প্রতিবারের মতো এবারও কাজটি করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। শওকতের কথা শুনে তাঁরা সিদ্ধান্ত বদলান। পরে সেই অর্থ শওকতের সন্ধান দেওয়া বন্ধুর মাধ্যমে তাঁর হাতে পাঠানো হয়েছে।