শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অপরাধে ফাঁসি, দেড় লাখ টাকা জরিমানা

আদালত
প্রতীকী ছবি

বরিশালে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় অপহরণের দায়ে ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও লাশ গুমের অপরাধে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম আবুল কালাম আজাদ (৪৫)। তাঁর বাড়ি বরিশাল নগরের বিমানবন্দর থানার গণপাড়া এলাকায়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ পূর্ব গণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী প্রতিদিনের মতো বিদ্যালয়ে যায়। বিদ্যালয়ের শৌচাগার না থাকায় সে বিদ্যালয়ের পাশের আবুল কালাম আজাদের বাড়ির শৌচাগারে যায়। এ সময় আবুল কালাম ওই শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেন। এরপর হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী করে একই এলাকার হালিম মাস্টারের বাড়ির কবরস্থানে ফেলে রাখেন। ঘটনার দুই দিন পর ১৩ মার্চ ওই কবরস্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে আসামির নাম উল্লেখ করে বিমানবন্দর মডেল থানায় মামলা করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, তদন্তে সত্যতা পেয়ে ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর মডেল থানার পরিদর্শক আবদুর রহমান মুকুল আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত ধর্ষণ শেষে হত্যার অপরাধে আবুল কালামকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাসহ ১ লাখ টাকা জরিমানা, অপহরণের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং লাশ গুম করার অপরাধে সাত বছর কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ফয়জুল হক ফয়েজ জানান, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি আসামির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ধার্যকৃত জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীর পরিবারকে দেওয়ার জন্য বরিশাল জেলা কালেক্টরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।