শিশুছাত্রকে মারপিট করে আটকে রেখে ২ শিক্ষক কারাগারে

কারাগার
প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় কওমি মাদ্রাসার ছাত্রকে (৮) আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের কাশিপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাজেদ হোসেন ও শাহিন হোসেন। নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা মো. আলাউদ্দিনের দায়ের করা মামলায় পুলিশ বুধবার রাতে ওই দুজনকে মাদ্রাসার আবাসিক ভবন থেকে গ্রেপ্তার করে।

মো. আলাউদ্দিন জানান, তাঁর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। সে নিয়মিত বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যায় ও পড়াশোনা করে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বুধবার পড়া না পারায় শিক্ষক মাজেদ হোসেন তাকে মারপিট করে একটি কক্ষে তিন ঘণ্টা আটকে রাখেন। দুপুরে নামাজ পড়ার জন্য কক্ষের তালা খুললে নাসিম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শিক্ষক শাহিন হোসেন তাকে আবারও মারপিট করে আটকে রাখেন। তিন মাস আগে পড়ে গিয়ে নাসিমের বাঁ হাত ভেঙে গিয়েছিল। দুই শিক্ষকের মারপিটে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

পুলিশ জানায়, নাসিমকে মারপিট ও কক্ষে আটকে রাখার খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী বুধবার রাতে মাদ্রাসাটি ঘেরাও করে এবং নাসিমকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ এসে শিক্ষক মাজেদ হোসেন ও শাহিন হোসেনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে শিশুটির বাবার দায়ের করা মামলায় দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। শিশু নাসিমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে থানাহাজতে ওই দুই শিক্ষক দাবি করেন, নাসিম প্রায়ই মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকে। আবার মাদ্রাসায় এলেও প্রায়ই ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। শিক্ষক শাহিন হোসেন বলেন, ‘বেত দিয়ে শাসানোর সময় অসতর্কভাবে হাতে আঘাত লেগেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল হবে না।’

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের পর জীবননগর আমলি আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।