শিশুটির কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দিশেহারা পরিবার

হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু তানবির
সংগৃহীত

মৎস্যজীবী পরিবারের বড় সন্তান সাত বছর বয়সী তানবির। খড়কাটাযন্ত্রে বিচ্ছিন্ন হয়েছে তার বাঁ হাতের কবজি। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে তার পরিবার। বর্তমানে ছেলেটি যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তানবিরদের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে। তার বাবা রবিউল শেখ পেশায় মৎস্যজীবী। খাল-বিল থেকে মাছ ধরে তা বিক্রি করে চার সদস্যের সংসার চালান তিনি। রবিউল শেখের দুই ছেলে। ছোট ছেলের বয়স চার বছর। আর বড় ছেলে তানবির কলাগাছি-কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ে।

২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে পাশের ধোপাদহ গ্রামে চাচির সঙ্গে পাট বাছতে যায় তানবির। সেখানে খড়কাটাযন্ত্রের মধ্যে হাত ঢুকে তার বাঁ হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে ওই দিনই তাকে নেওয়া হয় যশোর সদর হাসপাতালে। পরদিন তার অস্ত্রোপচার করা হয়।

তানবিরের বাবা রবিউল শেখ বলেন, ইতিমধ্যে ছেলের চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে ২৫-৩০ হাজার টাকা। স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনা করে এই খরচ করেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য সামনে আরও টাকা লাগবে। তিনি গরিব মানুষ। মাছ ধরে বিক্রি করে কোনোমতে সংসার চালান। এ অবস্থায় কী করবেন, কার কাছে হাত পাতবেন, কিছুই বুঝতে পারচ্ছেন না।

কলাগাছি-কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার পাণ্ডে বলেন, ঘটনাটি হৃদয়বিদারক। এ অবস্থায় হতদরিদ্র পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সহযোগিতার জন্য পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো দরকার।