শিশুটির বানানো খেলনা দেখতে আসছে মানুষ

কার্টনের কাগজ ও ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে মাটি খননযন্ত্রের আদলে ভিন্ন রকম খেলনা বানিয়েছে সাব্বির হোসেন। সম্প্রতি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কেশাইল গ্রামে
প্রথম আলো

ভিন্ন রকম এক খেলনা বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ১০ বছর বয়সী শিশুটি। তার নাম সাব্বির হোসেন। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুটি কার্টন বক্সের মোটা কাগজ দিয়ে খননযন্ত্রের আদলে খেলনা বানিয়েছে। কৌতূহল নিয়ে সেই খেলনার কারুকাজ দেখতে আসছে আশপাশের মানুষ।

পরিবারের ভাষ্য, সাব্বির হোসেন ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ও কার্টনের কাগজ দিয়ে খননযন্ত্র বা এক্সকাভেটর মেশিনের মতো খেলনা বানিয়েছে, যা বানাতে খরচ হয়েছে ৩৫০ টাকা। ছেলের এমন বৈজ্ঞানিক মনোভাবাপন্ন কাজে তারা বেশ খুশি।

সাব্বিরদের বাড়ি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কেশাইল গ্রামে। সে ভান্ডারপুর রহিমা প্রি-ক্যাডেট কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণি ছাত্র। তার বাবা শফিউল আলম জয়পুরহাট জেলা পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। মা লতা পারভীন গৃহিণী।

সম্প্রতি সাব্বিরদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, খেলনা খননযন্ত্রটি বাড়ির উঠানে নিয়ে প্রতিবেশীদের সামনে প্রদর্শন করছে সাব্বির। ইনজেকশনের সিরিঞ্জে পানি ভরা। সেই সিরিঞ্জে চাপ দিলেই খননযন্ত্রের মতো কাজ করছে খেলনাটি।

শিশু সাব্বির হোসনের তৈরি ভিন্ন রকম খেলনা।
প্রথম আলো

নিজের তৈরি এমন খেলনার বিষয়ে সাব্বির হোসেন বলে, ‘আমি ইউটিউবে এক্সকাভেটর মেশিন দেখেছিলাম। তখন আমার মনে ইচ্ছা জেগেছে, আমিও কার্টন দিয়ে একটি এক্সকাভেটর বানাব। আব্বার কাছ থেকে দুই-এক টাকা করে নিয়ে জড়ো করে দোকান থেকে কার্টনের কাগজ ও ইনজেকশনের সিরিঞ্জ কিনে এক্সকাভেটর বানানোর কাজে লেগে পড়ি। ১৫ দিনের মধ্যে এক্সকাভেটরটি বানিয়ে ফেলি। এতে আমার মোট ৩৫০ টাকা খরচ হয়েছে। এখন আমার হেলিকপ্টার বানানোর ইচ্ছা আছে।’

সাব্বিরের বাবা শফিউল আলম বলেন, প্রথম দিকে ছেলের এমন কাজ দেখে তাঁরা বিরক্ত হতেন। পরে যখন দেখলেন ছেলে এক্সকাভেটর মেশিনের মতো কিছু একটা বানিয়ে ফেলেছে, তখন তাঁরা বিস্মিত ও মুগ্ধ হয়েছেন।

স্থানীয় কোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশু সাব্বির অনুপ্রেরণা পেলে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করবে।