শিশুবক্তা রফিকুল ৫ দিনের রিমান্ডে

‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী
ছবি: সংগৃহীত

শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে কারাগার থেকে তেজগাঁও থানায় নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২–এর জেলার মো. আবু সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মো. আবু সায়েম জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকার তেজগাঁও থানায় ২৩(৪) ২১ নম্বর মামলায় আদালতে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই মামলায় আজ পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২–এ রফিকুল ইসলাম মাদানীর হাজতি নম্বর ৯৩৮/২১।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীকে তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করে র‍্যাব। পরের দিন ৮ এপ্রিল গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র‍্যাব। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরে ১৩ এপ্রিল গাছা থানা–পুলিশ গাজীপুর আদালতে রফিকুল ইসলাম মাদানীর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তারপর ১৫ এপ্রিল  আদালত তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ১৮ এপ্রিল বেলা পৌনে দুইটার দিকে দুই দিনের রিমান্ডে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কারগার থেকে গাছা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এ ছাড়া ১১ এপ্রিল গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানায় স্থানীয় এক ব্যক্তি রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২১ এপ্রিল দুপুরে আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করে। পরে ভার্চ্যুয়াল কোর্টের মাধ্যমে শুনানি শেষে আদালত রফিকুল ইসলাম মাদানীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরে ২২ এপ্রিল বেলা সোয়া একটার দিকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে দুই দিনের রিমান্ডে বাসন থানায় নেওয়া হয়েছিল। রিমান্ড শেষে ওই দুই থানা থেকে তাঁকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।

রফিকুল ইসলাম মাদানী নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার লেটিরকান্দা গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে।