শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে রূপসী-৯ নামের পণ্যবাহী নৌযানের ধাক্কায় আজ রোববার দুপুরে ডুবে যাওয়া এমএল আশরাফউদ্দিন লঞ্চের পাঁচ যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন যাত্রী নিখোঁজ আছেন।

এ পর্যন্ত দুজন নারী, দুটি শিশু ও একজন পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের নাম জানা গেছে। তাঁর নাম জয়নাল আবেদীন (৫০)। তাঁর বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদরের ইসলামপুর এলাকায়। বাকিদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেন্টেইনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিখোঁজদের উদ্ধারে নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল কাজ করছে।

আরও পড়ুন

সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীর দুই পাড়ে নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের ভিড় বাড়ছে।

নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জ যাওয়ার পথে আজ রোববার কার্গোর ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা চলছে
ছবি: প্রথম আলো

আজ বেলা দুইটার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর মাহমুদনগর কলাবাগান এলাকায় রূপসী-৯ নামের পণ্যবাহী নৌযানের ধাক্কায় অন্তত ৩০ যাত্রীসহ এমএল আশরাফউদ্দিন নামের একটি লঞ্চ ডুবে গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন জয়নাল আবেদিনের লাশ উদ্ধার করে। লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জে যাচ্ছিল। নারায়ণগঞ্জ নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দুর্ঘটনার পর সাঁতরে তীরে ওঠা মো. আবু তাহের প্রথম আলোকে বলেন, রূপসী-৯ নামের কার্গোটি তাঁদের লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার পর অন্তত ৫০ মিটার দূরে গিয়ে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চে অন্তত ৪০ যাত্রী ছিল বলে তিনি ধারণা করছেন।

নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, বেলা দুইটার দিকে টার্মিনাল থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রূপসী-৯ কার্গো। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়।

নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ওসি মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, মুন্সিগঞ্জগামী যাত্রীবাহী লঞ্চকে সিটি গ্রুপের রূপসী-৯ কার্গো ধাক্কা দিলে লঞ্চটি ডুবে যায়। ঘটনাস্থলে নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।