শীতে গরম পিঠার স্বাদ পেল ঘরহীন শিশুরা

শীতের সকালে বন্ধুসভার পিঠা উৎসবে আসা এক শিশু আরেক শিশুর মুখে পিঠা তুলে দেয়। গতকাল শুক্রবার দিনাজপুর রেলস্টেশন চত্বরে
ছবি: প্রথম আলো

দিনাজপুর রেলস্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে গতকাল শুক্রবার সকালে হাজির হয়েছিল জনা পঞ্চাশেক শিশু-কিশোর। সবার হাতে প্লেট। তাতে রাখা ভাপা, চিতই, পাকোয়ান, নুনিয়া আর নারিকেল পিঠা। কম বয়সী শিশুদের হাতে পিঠা তুলে দেন তাদের সঙ্গে আসা মায়েরা। যাদের সঙ্গে কেউ ছিলেন না, তাদের মুখে পিঠা তুলে দেন বন্ধুসভার সদস্যরা।

দিনাজপুরের মতো সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নীলফামারীতেও গতকাল পিঠা উৎসব করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা। তাঁরা নিজেদের টাকায় উপকরণ কেনার পর পিঠা তৈরি করেন। এরপর কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে পথশিশুদের মধ্যে বিতরণ করেন।

দিনাজপুর রেলস্টেশনে যে পিঠা বিতরণ করা হবে, তা আগের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে স্টেশনে গিয়ে শিশুদের জানানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী গতকাল পিঠা নিয়ে যেতেই স্টেশনে ভিড় করে শিশুরা। এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর বন্ধুসভার উপদেষ্টা ও দিনাজপুর সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাসুদুল হকসহ বন্ধুসভার প্রাক্তন সদস্যরা। তাঁরা শিশুদের হাত জীবাণুমুক্ত করে পিঠা বিতরণ করেন।

আয়োজন শেষে বন্ধুসভার নবনির্বাচিত সভাপতি আর্নিকা নাওয়ার বলেন, ‘শীতের পিঠা আমাদের ঐতিহ্য। কিন্তু সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা নানা রকম পিঠার স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়। এই শীতে তাদের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য বন্ধুসভার পক্ষ থেকে এমন আয়োজন।’

নীলফামারীতে জেলা সদরের খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব খোকশাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের পাশের একটি বাড়িতে চলে পিঠা তৈরির কাজ।

নীলফামারীর পিঠা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী বন্ধুসভার উপদেষ্টা ও বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প রংপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী জুলফিকার আলী, বিদ্যালয়ের শিক্ষক মানিক চন্দ্র রায় প্রমুখ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিঠা উৎসব করা হয় পৌর এলাকার চাঁদলাই মহল্লার জোড়বাগান বস্তিতে। গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ উৎসবে ৪৬ শিশুর মধ্যে কলার পাতায় করে শীতের পিঠা বিতরণ করেন বন্ধুসভার সদস্যরা।