শূন্যরেখায় হবে বাংলাদেশে প্রবেশের যাবতীয় কার্যক্রম

শূন্যরেখা থেকে ৩০০ গজ দূরের অস্থায়ী শেডে হবে যাত্রীদের বাংলাদেশে প্রবেশের যাবতীয় কার্যক্রম। গতকাল রোববার বিকেলে চলে সেই শেড নির্মাণের কাজ
প্রথম আলো

করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের ২৩ মার্চ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল। গতকাল রোববার থেকে আবারও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার শুরু হয়েছে। যদিও আজ সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো যাত্রী পারাপার হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন হিলি ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেকেন্দার আলী।

যাত্রী পারাপারে স্বাস্থ্যবিধিসহ কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। আগে যাত্রীরা শূন্যরেখায় আসার পর প্রথমে বিজিবির সদস্যরা কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ইমিগ্রেশন অফিসে পাঠাতেন। সেখান থেকে স্বাস্থ্য বিভাগে পাঠানো হতো।

এখন শূন্যরেখাতেই চালু হতে যাচ্ছে ওয়ান স্টপ সার্ভিস। শূন্যরেখায় থেকে ৩০০ গজ দূরে নির্মাণ করা হচ্ছে অস্থায়ী শেড। সেখানে তিনটি বিভাগের কর্মকর্তারাই অবস্থান করবেন। যাত্রীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাইসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

আজ সকালে শূন্যরেখায় অস্থায়ী শেড নির্মাণের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, হিলি শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার সাইদুল আলম, হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদসহ আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সদস্যরা।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে শূন্যরেখায় অস্থায়ী শেড নির্মাণে বিএসএফ সদস্যরা বাধা দিলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীনেতারা।

তবে হিলি শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার সাইদুল আলম বলেন, শেড নির্মাণসংক্রান্ত জটিলতায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার কোনো ঘটনা ঘটেনি। সাধারণত বিকেল চারটার পরে এমনিতেই গাড়ি পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। আজ বেলা ১১টা থেকে যথারীতি পণ্য আমদানি শুরু হয়।

হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন, যাত্রীদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করার জন্য শূন্যরেখা থেকে সামান্য দূরে একটি অস্থায়ী শেড নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। শূন্যরেখায় অস্থায়ী শেড নির্মাণে বিএসএফ বাধা প্রদান করেছিল। পরে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান করা হয়।

হিলি ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেকেন্দার আলী বলেন, ভারতে আটকে থাকা বাংলাদেশি যাত্রীরা ফেরার সময় তাঁদের স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে হিলি ইমিগ্রেশন সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। যাত্রীরা শূন্যরেখায় এলে এনওসি গ্রহণ করে দেশে প্রবেশ করানো হবে।