শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় সাতজনকে জেরা

সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
ফাইল ছবি

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় সোমবার সাতজন সাক্ষীকে জেরা করা হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীদের দেওয়া জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে জেরায় অংশ নেন। সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির জেরার বক্তব্য রেকর্ড করেন।

এ সময় আদালতে সরকারপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা ও পিপি আবদুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মজিদ, শহীদুল ইসলামসহ কয়েকজন।

যেসব সাক্ষীকে জেরা করা হয়েছে তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মুনসুর আহমেদ, বিরোধীদলীয় নেতার সফরসঙ্গী ফাতেমা জাহান সাথী, সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সরদার মুজিব, ফটোগ্রাফার শহীদুল হক জীবন, চালক মো. নজিবুল্লাহ, দুই সাংবাদিক আবু আহমেদ ও ইয়ারব হোসেন। জেরায় বিভিন্ন প্রশ্ন করা হলে তার জবাব দেন তাঁরা।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নে ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দেখে মাগুরায় যাচ্ছিলেন। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনের রাস্তায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও তৎকালীন সাংসদ হাবিবুল ইসলামের নির্দেশে বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা গাড়িবহরে হামলা চালান। হামলায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি, সাংবাদিকসহ কমপক্ষে এক ডজন দলীয় নেতা-কর্মী আহত হন।

এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ায় ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেমউদ্দিন বাদী হয়ে যুবদলের নেতা আশরাফ হোসেন, আবদুল কাদের বাচ্চুসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭০-৭৫ জনকে আসামি করে সাতক্ষীরা নালিশি আদালত ‘ক’ অঞ্চলে একটি মামলা করেন। মামলাটি বিভিন্ন আদালত ঘুরে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়। পরবর্তীকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৭ সালের ৯ ও ২৩ আগস্ট আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম হাইকোর্ট স্থগিত করেন। তিন বছর পর আসামিপক্ষের মিস কেস খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্ট পেনাল কোডের মামলাটি ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেন।