শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় সাফাই সাক্ষ্য দিলেন রিজভী

সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
ফাইল ছবি

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ২০০২ সালে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার অন্যতম আসামি হাবিবুল ইসলামের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জেরা শেষে বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর আগামী ৬ জানুয়ারি আলোচিত এ মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেন।

সাফাই সাক্ষ্য দিতে এসে রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তিনি নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের পঞ্চম তলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার বিএনপি নেতা ও তৎকালনী সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব। জুমার দিন থাকায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত সভা চলেছিল।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেরাকালে রুহুল কবীর রিজভী ওই দিন সভায় উপস্থিতির হাজিরা, রেজল্যুশন ও নোটিশ দেখাতে পারবেন কি না, জানতে চাইলে তিনি তা দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বিএনপি কার্যালয়ের নিচে অতিথিদের আসা-যাওয়ার রেজিস্টার ও রেজিস্টার নিয়ন্ত্রণে কোনো দায়িত্বশীল লোক ছিল কি না, তা জানতে চাইলে এ ধরনের কোনো রেজিস্টার বা নিয়োগকৃত লোক ছিল না বলে তিনি আদালতকে জানান।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল লতিফ, সাবেক পিপি এস এম হায়দার আলী, সাবেক পিপি তপন কুমার দাস, আইনজীবী ওসমান গনি, অতিরিক্ত পিপি ফাহিমুল হক, সাবেক অতিরিক্ত পিপি আজাহার হোসেন, শহীদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, নাজমুন্নাহার, তামিম আহম্মেদ প্রমুখ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে মাগুরায় যাচ্ছিলেন। পথে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তাঁর গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর চালান বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। হামলায় অনেকে আহত হন।

এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ায় ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেমউদ্দিন বাদী হয়ে যুবদলের নেতা আশরাফ হোসেন, আবদুল কাদের বাচ্চুসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৭৫ জনকে আসামি করে সাতক্ষীরা নালিশি আদালত ‘ক’ অঞ্চলে একটি মামলা করেন। মামলাটি বিভিন্ন আদালত ঘুরে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়। পরবর্তীকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আরও পড়ুন