শেরপুরে আ.লীগের ‘বিদ্রোহী’সহ দুই মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

পৌরসভা নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। দুজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. আরিফ রেজা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মো. আল আমিন।

হলফনামায় সঠিক তথ্য প্রদান না করায় আজ মঙ্গলবার বাছাইকালে তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার আজ দুপুরে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে মেয়র পদে এই দুজনসহ মোট আট প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম মামুনুর রশীদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আরিফ রেজা, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. আনোয়ারুল সাদ্দাত, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান এবং পরিবহন ব্যবসায়ী মো. আল আমিন। তাঁদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ রেজা ও আল আমিনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

চতুর্থ ধাপে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ৫৬ পৌরসভার সঙ্গে শেরপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রার্থী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে তাঁরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যদিও ২৬ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হবে। তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপর দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী প্রথম আলোকে বলেন, নিজেদের মধ্যে কিছুটা ভুল–বোঝাবুঝির কারণে আবদুল মান্নান প্রার্থী হয়েছেন। তবে শিগগিরই তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সুরাহা করা হবে।

চতুর্থ ধাপে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ৫৬ পৌরসভার সঙ্গে শেরপুর ও শ্রীবরদী পৌরসভার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।