শেরপুরে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, চার জেলার সঙ্গে বাস বন্ধ

শেরপুর জেলার মানচিত্র

শেরপুরে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। করোনার বিস্তার রোধে পৌর এলাকাসহ সদর উপজেলায় বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে এই বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে। বলবৎ থাকবে ২৮ জুন পর্যন্ত। এ ছাড়া শেরপুর থেকে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর ও খুলনা জেলাগামী বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।

সোমবার রাতে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনার কলি মাহবুব স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। জেলা সিভিল সার্জন এবং জেলা করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্যসচিব এ কে এম আনওয়ারুর রউফ প্রথম আলোকে তা নিশ্চিত করেছেন।

গণবিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর পৌর এলাকাসহ সদর উপজেলায় কোভিডে সংক্রমিত ব্যক্তির বাসস্থান লকডাউনের আওতাভুক্ত থাকবে। জনসমাগম হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও বিয়ের অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক এবং পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ থাকবে। সকাল সাতটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিং মল খোলা রাখা যাবে। ওষুধের দোকানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখা যাবে। জরুরি পরিষেবা ও জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কেউ বেলা তিনটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে অবস্থান করতে পারবেন না। হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবারের দোকানগুলোতে বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু পার্সেল, টেকঅ্যাওয়ে, অনলাইন অর্ডার বা হোম ডেলিভারি সেবা দিতে পারবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শেরপুর থেকে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর ও খুলনা জেলাগামী বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। অন্যান্য রুটে বাস, মাইক্রোবাস ইত্যাদি গণপরিবহন নির্ধারিত আসনসংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সিএনজি, অটোরিকশা, ইঞ্জিনচালিত রিকশা, অন্যান্য রিকশা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু দুজন যাত্রী বহন করতে পারবে। কোনোভাবেই সামনের আসনে যাত্রী বহন করতে পারবে না। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত শেরপুরে ৩৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমিত ব্যক্তিদের অধিকাংশই শেরপুর পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার বাসিন্দা।

সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ বলেন, গত বছরের ৫ এপ্রিল জেলায় প্রথম দুই ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়। করোনা শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৫ জনে। যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করায় সাধারণ মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছেন। তাই সবাইকে সচেতন হওয়া, মাস্ক ব্যবহারসহ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি।