শেরপুরে কামারপট্টিতে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য
কয়েক দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদে অসংখ্য গরু–ছাগল কোরবানি করা হবে। এ কারণে এখন বগুড়ার শেরপুরের কামারপট্টিগুলো সরব হয়ে উঠেছে। দা, চাকু, ছুরি ও বঁটি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এসব পট্টির শ্রমিকেরা।
শেরপুর পৌর শহরের শিশুপার্ক, গোসাইপাড়াসহ উপজেলার বনমরিচা, ভবানীপুর, রানীরহাট, মির্জাপুর, শেরুয়া বাজার, ছোনকা ও সীমাবাড়ি বাজার এলাকায় দা, চাকু, বড় ছুরি বিক্রি বেড়েছে।
শেরপুর পৌর শহরের শিশুপার্ক এলাকার কামার বীরেন কর্মকার বলেন, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে কঠোর বিধিনিষেধ চলার কারণে তাঁদের বেচাকেনা কমে যায়। ঈদ ঘনিয়ে আসায় এবং বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণা আসায় দুই দিন ধরে এসব উপকরণের চাহিদা বেড়ে গেছে। তাঁরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আজ বৃহস্পতিবার শেরপুর পৌর শহরের বারদুয়ারী হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটে দা, ছুরি, চাকু ও বঁটির বেচাকেনা বেড়েছে।
দোকানমালিক কালাচাঁদ মহন্ত ও রতন কর্মকার বলেন, এক কেজি ওজনের লোহার তৈরি একটি দা তাঁরা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়, ১২ ইঞ্চি লম্বা চাকু ১৩০ টাকায়, ১০ লম্বা ৫০ টাকায় ও ১ কেজি ওজনের বঁটি তাঁরা ২৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।
কাজল মহন্ত ও উৎপল মহন্ত আরও বলেন, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সময় তাঁদের দোকান বন্ধ ছিল। কোরবানির ঈদ সামনে চলে আসায় দা, বঁটি ও ছুরির ক্রেতার সংখ্যাও বেড়েছে। সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার বারদুয়ারীতে হাট বসে। এই দুই দিন ছাড়া অন্যান্য দিনেও এখন হাটের তাদের এই সব দোকানে বেচাকেনা চলবে। তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান পরিচালনা করছেন।
পৌর শহরের কামারপট্টির শিশুপার্ক, গোসাইপাড়া ও বনমরিচা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কামারপট্টির কামাররা ছুরি, চাকুসহ বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
মিঠু সরকার ও খোকন মোহন্ত নামে দুই কামার বলেন, কোরবানি ঈদে তাঁরা প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের উপকরণ তৈরি করেন। এবারও এসব উপকরণের চাহিদা বেড়েছে। অন্তত ১৫ দিন ধরে তাঁরা দা, চাকু, ছুরি ও বঁটি তৈরিতে ব্যস্ত আছেন। কোরবানির ঈদের আগের দিন পর্যন্ত তাঁদের এই ব্যস্ততা থাকবে। সারা বছর তাঁরা যে আয় করেন, তার অর্ধেক আয় করেন এ সময়ে।