শেরপুরে নারী চিকিৎসকের দ্বিতীয় দফায় করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

শেরপুরে প্রথমবার করোনা শনাক্তের চার মাস পর পুনরায় এক নারী চিকিৎসকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় আক্রান্ত এই চিকিৎসক হলেন জেলার নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা তানজিনা মাহবুব।

বুধবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) পিসিআর ল্যাব থেকে পাঠানো প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জেলার সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। ওই চিকিৎসক ছাড়াও জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের ৭০ বছর বয়সী এক কৃষকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫০ জনে। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৯৬ জন। আর মারা গেছেন ৯ জন।

চিকিৎসা কর্মকর্তা তানজিনা মাহবুব প্রথম আলোকে বলেন, গত ৯ মে প্রথমবারের মতো তাঁর করোনা শনাক্ত হয়। তিন সপ্তাহ বাসায় আইসোলেশনে থাকার পর তিনি সুস্থ হন। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। এরপর যথারীতি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন। নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে গত সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) তিনি পুনরায় নমুনা দেন। এরপর বুধবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে তাঁর করোনা পজিটিভ হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তিনি বাসায় আইসোলেশনে থাকবেন বলে জানান।

সিভিল সার্জন আনওয়ারুর রউফ বলেন, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসটি দ্রুত তার চরিত্র বদলাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় চিকিৎসক তানজিনা মাহবুব দ্বিতীয় দফায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। শেরপুরে করোনাভাইরাসের বিস্তার বেড়ে চলেছে। তাই এর বিস্তার রোধে সচেতন হওয়ার ও মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।

বুধবার পর্যন্ত জেলায় করোনায় সংক্রমিত ৪৫০ জনের মধ্যে শেরপুর সদরে ২১৯, নকলায় ৭০, নালিতাবাড়ীতে ৮০, ঝিনাইগাতীতে ৩৮ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ৪৩ জন আছেন।