শেষ পর্যন্ত বেগুন বিক্রি হলেও মারা গেলেন দুখা চাকি

ভোরে খেত থেকে বেগুন তুলেছেন বাবা ও ছেলে। ভোরের আলো ফোটার আগেই তাঁরা একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে সেই বেগুন বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁরা বেগুন নিয়ে বাজারে পৌঁছাতে পারেননি। এর আগে গাড়ির ধাক্কায় বাবা নিহত হয়েছেন। আহত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার পুনগোপীনাথপুর এলাকার বটতলীতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।নিহত দুখা চাকি (৬০) ক্ষেতলাল উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মৃত মিস্ত্রি চাকির ছেলে। দুর্ঘটনায় আহত দুখা চাকির ছেলে সুধা চাকিকে (৩২) বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুখা চাকি ও তাঁর ছেলে সুধা চাকি ভোরে তাঁদের খেত থেকে বেগুন তোলেন। তাঁরা বেগুন বিক্রির জন্য একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে আক্কেলপুর-ক্ষেতলাল সড়ক দিয়ে আক্কেলপুর কলেজ বাজারে যাচ্ছিলেন। সুধা চাকি ভ্যান চালাচ্ছিলেন। দুখা চাকি ভ্যানে বসে ছিলেন। উপজেলার পুনগোপীনাথপুর এলাকার বটতলীতে তাঁরা দুর্ঘটনায় পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শী দুলাল হোসেন জানান, ভোর সাড়ে পাঁচটায় বাড়ি থেকে বের হয়ে সড়কে এসে তিনি দেখেন দুখা চাকি ও তাঁর ছেলে সড়কের দুই পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। সড়কে ওপর বেগুনবোঝাই ভ্যান। ভ্যানটি বাড়িতে রেখে ওই দুজনকে একটি অটোরিকশায় করে আক্কেলপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা দুখা চাকিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সুধা চাকিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

দুলাল হোসেন আরও জানান, সেই বেগুন ১ হাজার ৯৫০ টাকায় বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। সুধা চাকি তাঁকে (দুলাল) জানিয়েছেন, ট্রাকের মতো কোনো যানবাহন তাঁদের ধাক্কা দিয়েছে।

আক্কেলপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু নেওয়াজ বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।