শেষ রক্ষা হলো না প্রাচীণ বটগাছগুলোর

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চণ্ডীদাসগাতী গ্রামে হাটের মাঝখানের পুরোনো বটগাছ কাটা হচ্ছে
ছবি: প্রথম আলো

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চণ্ডীদাসগাতী গ্রামে হাটের মাঝখানের পুরোনো বটগাছগুলোর শেষ রক্ষা হলো না। আজ বুধবার বিকেল পর্যন্ত চারটি বটগাছের মধ্যে তিনটি গাছই কেটে ফেলা হয়েছে।

সবশেষ বটগাছটি কাটার প্রক্রিয়া চলছে। গত রোববার বটগাছগুলো কাটা শুরু হয়। এতে স্থনাীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তাঁরা বলছেন, হাটের উন্নয়নের নামে শতবর্ষী চারটি বটগাছ কাটা ঠিক হচ্ছে না।

গত বছর গাছগুলোকে কাটার প্রক্রিয়া শুরু হলে প্রথম আলোতে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রাচীন বটগাছ চারটি কাটা বন্ধ করা হয়েছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হাটের মাঝখানে এক চালাবিশিষ্ট ভবন তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে। এ চালার নিচেই বসবে হাট।

স্থানীয় বাসিন্দা ও বৃক্ষপ্রেমী আবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা বৃক্ষনিধন চাই না। উন্নয়ন করতে হবে, তবে বৃক্ষনিধন করে নয়। এই বটবৃক্ষগুলোর বয়স শত বছরের পুরোনো, যা এলাকার ঐতিহ্য।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনএ) আনোয়ার পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, হাটের উন্নয়নকাজ করতে নিয়ম মেনেই বন বিভাগের মাধ্যমে গাছগুলোর মূল্য নির্ধারণ করে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়। এরপর যথাযথ প্রক্রিয়ায় দরপত্রের মাধ্যমে চূড়ান্ত মূল্যেই গাছগুলোকে ঠিকাদারদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।