বিচারপতি দেবেশ ভট্টাচার্য ও চিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি ট্রাস্ট ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

বিচারপতি দেবেশ ভট্টাচার্য ও চিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি ট্রাস্ট আয়োজিত ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের খেলায় বিজয়ী দলের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সাংসদ হাছান ইমাম খান এবং ট্রাস্টের সভাপতি অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। আজ বুধবার রাতে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা জমিদারবাড়ি মাঠেপ্রথম আলো

বিচারপতি দেবেশ ভট্টাচার্য ও চিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি ট্রাস্ট আয়োজিত ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের খেলা আজ বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কারও দেওয়া হয় আজ। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা জমিদারবাড়ি মাঠে বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় টাঙ্গাইল-৪ আসনের সাংসদ হাছান ইমাম খান। ট্রাস্টের সভাপতি অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালিহাতী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনসার আলী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান, এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র নূর-এ-আলম সিদ্দিকী, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবদুল মালেক ভূঁইয়া প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন ট্রাস্টের সদস্যসচিব ইরিনা ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাশীনাথ মজুমদার।

অনুষ্ঠানে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অনেক অর্জন রয়েছে। দেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন গড় আয়ু ছিল ৪৭ বছর। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭৩ বছর। আগে সাত কোটি মানুষের খাবার কীভাবে জোগান হবে তা নিয়ে বিদেশিরা তামাশা করত। এখন এর তিন গুণ বেশি মানুষকে খাওয়ানোর সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে। গত পাঁচ বছরেই ১ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে বের হয়ে এসেছে। সামনের ৫০ বছর দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মাদকাসক্তি, উগ্রবাদ থেকে যুবসমাজকে দূরে রাখতে হবে। এ জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা অত্যন্ত জরুরি।

সামনের ৫০ বছর দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মাদকাসক্তি, উগ্রবাদ থেকে যুবসমাজকে দূরে রাখতে হবে। এ জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা অত্যন্ত জরুরি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, অর্থনীতিবিদ ও বিচারপতি দেবেশ ভট্টাচার্য ও চিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি ট্রাস্টের সভাপতি

সাংসদ হাছান ইমাম খান বলেন, এ ধরনের আয়োজন যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়ক হবে। নতুন প্রজন্মকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চায় সম্পৃক্ত করতে হবে।

পরে অতিথিরা চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। চল্লিশোর্ধ্ব বয়সীদের বিভাগে বিরতি মাঠ দলের হাতে চ্যাম্পিয়ন এবং বল্লা ভাই-বন্ধু দল রানার আপের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। উন্মুক্ত বয়সীদের বিভাগে এলেঙ্গা ইয়াং জেনারেশন দলের হাতে চ্যাম্পিয়ন এবং চৌরঙ্গী দলের হাতে রানার আপ পুরস্কার দেওয়া হয়।

৪ ডিসেম্বর থেকে এ ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে ‘চল্লিশোর্ধ্ব’ ও ‘উন্মুক্ত’ (অনূর্ধ্ব চল্লিশ) নামে বয়সভিত্তিক এ দুই বিভাগে মোট ২৪টি দল অংশ নেয়।