শৈলকুপায় আ.লীগ ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও ‘বিদ্রোহী’ মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আজ রোববার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে
ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পৌরসভা নির্বাচন কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সরোয়ার হোসেন নামের আওয়ামী লীগের এক কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ রোববার সন্ধ্যায় এই পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় উভয় পক্ষকে দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে। পুলিশও ১২টি ফাঁকা রাবার বুলেট ছোড়ে। উভয় পক্ষ একে অপরকে হামলার জন্য দায়ী করেছে।

আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজম বলেছেন, দল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত মেয়র পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈয়বুর রহমানের কর্মীরা নৌকার মিছিলে হামলা চালিয়েছেন। তবে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী তৈয়বুর রহমান বলেছেন, নৌকার মিছিল থেকে স্কুল মার্কেটে তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। যা নিয়ে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, হামলায় সরোয়ার হোসেন নামে তাঁর এক কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নৌকা প্রতীকের একটি মিছিল শৈলকুপা শহরের চৌরাস্তা হয়ে সরকারি ডিগ্রি কলেজের দিকে যাচ্ছিল। মিছিলটি ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী তৈয়বুর রহমানের অফিস অতিক্রমের সময় উভয় পক্ষের কর্মীরা একে অপরের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা ঢাল-ভেলাসহ দেশীয় সব অস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। পরে পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে ১২টি ফাঁকা রাবার বুলেট ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সময় সংঘর্ষে জড়িতদের ছোড়া ইটের আঘাতে পুলিশের সাত সদস্য আহত হয়েছেন।

শৈলকুপা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে তাঁরা ১২টি রাবার বুলেট ছুড়েছে। এ ঘটনায় তাঁদের সাত সদস্য আহত হয়েছেন।