শৈলকুপায় কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই খুনের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত আলীর ভাই লিয়াকত ইসলাম হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার মামলা হয়েছে। শওকত আলী বাদী হয়ে ২০ জনের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় মামলাটি করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে জানাজা শেষে ষষ্টিবার গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে লিয়াকত ইসলামকে দাফন করা হয়েছে। অপর দিকে কুমার নদ থেকে উদ্ধার করা কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত আলীর প্রতিদ্বন্দ্বী অপর কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর খান বাবুর লাশও বৃহস্পতিবার বিকেলে দাফন করা হয়েছে। আলমগীর খানের লাশ নিজ গ্রাম দেবতলায় তাঁর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

শৈলকুপা থানার ওসি (তদন্ত) মহাসীন আলী জানান, আওয়ামী লীগের নেতা লিয়াকত ইসলামকে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামি কবিরপুর এলাকার বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।  

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার রাত আটটার দিকে কবিরপুর এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন শৈলকুপা পৌরসভার ৮ নম্বর কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত আলীর ভাই ও উমেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত ইসলাম ওরফে বল্টু। এ সময় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অপর কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলমগীর খানের সমর্থকেরা লিয়াকত ইসলামকে কুপিয়ে জখম করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এই ঘটনার ৫ ঘণ্টা পর রাত ২টার দিকে দেবতলা-বারইপাড়া এলাকার কুমার নদ থেকে আলমগীর খানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি শৈলকুপা পৌরসভা এলাকার কবিরপুর গ্রামের জালাল আহম্মেদ খানের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নির্বাচনী সহিংসতায় মাত্র ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাইকে হত্যা এবং এই হত্যার ঘটনায় যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, সেই প্রার্থীর লাশ উদ্ধারের পর শৈলকুপা পৌর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে  শৈলকুপা থানার ওসি (তদন্ত) মহাসীন আলী জানান, বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। তিনি আশা করছেন ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।